২০১৪ সাল থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রকৃত সংখ্যা জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও শর্মিলা সরকার। রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতেই বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) করা হয়েছে— এই দাবি তুলে আসছে বিজেপি। কিন্তু মঙ্গলবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরেও রাজ্যে মোট কতজন অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে সংসদে প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন সীমান্তে অনুপ্রবেশের নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
লোকসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান এবং নেপাল-ভুটান সীমান্ত দিয়ে মোট ২০,৮০৬ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই চার সীমান্ত থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩,১২০ জনকে।
Advertisement
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২,৫৫৬ জন, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ৪৩৭ জন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৪৯ জন এবং ভারত-নেপাল ও ভুটান সীমান্তে ৭৮ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সেই সংখ্যা ১৮,৮৫১। এর পরে রয়েছে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত, সেখান থেকে ১,১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এই সংখ্যা ৫৫৬ এবং ভারত-নেপাল ও ভুটান সীমান্তে ২৩৪ জন।
Advertisement
তবে সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কারণ, একদিকে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক চলছে, অন্যদিকে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরল কেন্দ্র।
Advertisement



