• facebook
  • twitter
Wednesday, 10 December, 2025

তিন বছর বিদ্যুৎ বিল না-দেওয়ার অভিযোগ তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে

লালুপ্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠপুত্রের ব্যক্তিগত বাংলোর গত তিন বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে, টাকার অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা

ফের বিতর্কে তেজপ্রতাপ যাদব। লালুপ্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠপুত্রের ব্যক্তিগত বাংলোর গত তিন বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে, টাকার অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এত বড় অঙ্কের বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

বিহারের বেউরে অবস্থিত তেজপ্রতাপ যাদবের ব্যক্তিগত বাংলোটি নিয়ে উঠল নতুন বিতর্ক। বিধায়ক থাকাকালীন বেশির ভাগ সময় তিনি সরকারি বাংলোতেই থাকতেন, আর মাঝেমধ্যেই নিজের বাড়িতে গিয়ে সময় কাটাতেন। কিন্তু অভিযোগ, ওই ব্যক্তিগত বাংলোর বিদ্যুৎ বিল গত তিন বছর ধরেই পরিশোধ করা হয়নি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে শেষবার বিল দেওয়া হয়েছিল, তার পর থেকে এক টাকাও জমা পড়েনি।

Advertisement

২০২২ সালের জুলাইয়ে তেজপ্রতাপ যাদবের বেউরে বাংলোর যে শেষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। কিন্তু তার পর টানা তিন বছর ওই বাংলোয় বিদ্যুৎ ব্যবহার হলেও কোনও বিল দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ দপ্তরের হিসাব বলছে, বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪ টাকা। দীর্ঘদিন বিল না-মেটানোর জন্য অতিরিক্ত প্রায় ২৪ হাজার টাকার জরিমানাও যোগ হয়েছে বকেয়ার সঙ্গে।

Advertisement

তিন বছর ধরে বিপুল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন তেজপ্রতাপ যাদবের ব্যক্তিগত বাংলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হয়নি, তা নিয়ে জোর প্রশ্ন উঠেছে। সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, পোস্টপেইড গ্রাহকের বকেয়া ২৫ হাজার টাকা ছাড়ালেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। কিন্তু তেজপ্রতাপের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য হয়নি বলেই অভিযোগ। কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, কেন নিয়ম ভেঙে এত দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে— তা নিয়েই বিদ্যুৎ দপ্তরের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

বিহারে যেখানে বেশিরভাগ জায়গায় স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসেছে, সেখানে তেজপ্রতাপ যাদবের বাংলোয় এখনও পোস্টপেইড সংযোগ কীভাবে রয়ে গেল— তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে দ্রুত প্রিপেইড মিটারে রূপান্তর করা হলেও তাঁর ক্ষেত্রে কেন সেই নিয়ম মানা হয়নি, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ কি তেজপ্রতাপের জন্য বিশেষ সুবিধা, নাকি বিদ্যুৎ বিভাগে চরম গাফিলতি—তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারে।

Advertisement