• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

সংহতি মঞ্চ থেকে বিজেপি এবং সিপিএমকে আক্রমণ ফিরহাদ-কল্যাণের

ভারতবর্ষে এখন অন্ধকার সময় চলছে

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। ধ্বংসের পরের বছর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল। এবার ধর্মতলায় কর্মসূচি আয়োজন করে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং সংখ্যালঘু সেল। সংহতি দিবসে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফিরহাদ হাকিম সংহতি মঞ্চ থেকে বলেন, ‘ভারতবর্ষে এখন অন্ধকার সময় চলছে। কংগ্রেস ও মুসলিম ভারতবর্ষকে ভেঙেছিল। আজকে আবার বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি আর তাতে সাহায্য করছে আমাদের কিছু মীরজাফর। ভারতের ঐক্যই ভারতের শক্তি। বিভাজন শেষ কথা বলবে না। ভারতবর্ষের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা, সংহতির কথা বলা হয়েছে। সার্বভৌমত্বের কথা বলা হয়েছে, সেটাই শেষ কথা বলবে।‘

Advertisement

এদিন নাম না করে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকেও আক্রমণ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাতেও সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে। কেউ মসজিদের নামে কেউ মন্দিরের নামে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। ধর্মীয় বিভাজনকে বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে না। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে নজরুলের সেই একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান নীতিকেই। এই বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ সকলেই সংহতি ও ঐক্যের কথা বলেছেন।‘ বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিজেপি ঘৃণার রাজনীতি করছে। আমরা ঐক্যের রাজনীতি করব। ভালোবাসার কথা বলব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে চলব। বাংলা দখল করব। ভারতও দখল করব।‘

Advertisement

তৃণমূলের সংহতি দিবসের অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একদিন যে লোকটা ভগবান হয়ে উঠেছিলেন, রিকশা, অটোর পিছনে ‘তুমি ভগবান, তুমি ভগবান’ লিখে যাঁর পোস্টার পড়ত, সেই তিনিই এখন শয়তান হয়ে গিয়েছেন।‘

চাকরি খাওয়া নিয়ে সিপিএম-বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, ‘সিপিএম-এর লোকেরা চাকরি খেয়ে চলে যায়। আর আমাদের চ্যালেঞ্জটা এই জায়গায়। বাংলায় কয়েকটা উকিলের জন্য কলকাতার প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা, সেটাই আমরা জানতে চাই। একটা পচা-গলা-মরা জীবকে প্রতিষ্ঠানের কোনও কোনও একজন খালি প্রাণ দিয়ে যাচ্ছে। এই সিপিএমের লোকই চাকরি খেতে এসেছিল, আটকে দিয়েছি। একদম চোখ রাঙাবেন না। অভিষেক হল আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর দিদি ছিল আছে থাকবে।‘

 

 

Advertisement