ভারত এবং ইজরায়েল যৌথ ভাবে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি কার্যকর করার জন্য দু’দফা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
সম্প্রতি ইজরায়েল সফরে গিয়ে গোয়েল জানান, ‘আমরা চাই বাণিজ্যচুক্তির প্রথম ধাপটি দ্রুত সম্পন্ন করতে। এতে উভয় দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক সুরক্ষা এবং সুবিধা নিশ্চিত হবে।’ তাঁর সঙ্গে রয়েছে ৬০ সদস্যের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল।
Advertisement
বাণিজ্যচুক্তির মূল লক্ষ্য, দুই দেশের মধ্যে শুল্ক সমস্যা হ্রাস করে পণ্যের বাজারকে আরও উন্মুক্ত করা। একই সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ব্যবসার নিয়ম সহজ করার বিষয়গুলিও গুরুত্ব পাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর জন্য শর্তাবলীর নথিতে সই হয়েছে।
Advertisement
গোয়েল জানান, ইজরায়েলের শিল্পমন্ত্রী নীর বরকত প্রথমে স্বল্প-ঝুঁকির ক্ষেত্রগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। ইজরায়েলে নতুন মেট্রো প্রকল্প শুরু হচ্ছে, এবং সেই প্রকল্পে ভারতীয় সংস্থা অংশ নেবে বলেও আশাবাদী তিনি। তাঁর কথায়, ‘ভারতের ২৩টি শহরে মেট্রো প্রকল্প সফল ভাবে চলছে। বহু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সেই কাজে যুক্ত। ইজরায়েলেও ভারতীয় সংস্থাগুলি দরপত্র জমা দেবে বলে আশা করি।’
২০২০ সালের পর থেকে ইজরায়েল ইতিমধ্যেই ১৫টির বেশি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের চুক্তি করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাইল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশও। নতুন ভারত–ইজরায়েল চুক্তি দুই দেশের বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
উল্লেখ্য, ভারত এখনও পর্যন্ত আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেনি। কয়েকটি জটিলতা এখনও রয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারত কোনও একটি দেশের উপর নির্ভরশীল অর্থনৈতিক ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে বহুমাত্রিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমীকরণ তৈরি করতে চায়। সেই দিক বিবেচনা করেই পশ্চিম এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ইজরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তিকে দেশটির কৌশলগত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই।
Advertisement



