বিনিয়োগকারীরা প্রথমবার বিনিয়োগ করার সময় বিশেষ করে চান আর্থিক স্থিতিশীলতা তৈরি করতে। তাঁরা অর্থ বৃদ্ধি করতে এবং সম্পদ গঠন করতে উৎসাহী হন। বিনিয়োগ সঠিকভাবে করতে হলে চাই প্রস্তুতি। প্রথমে তৈরি করতে হবে এমন একটি তহবিল, যা প্রয়োজনের সময় ছয় মাসের প্রয়োজনীয় ব্যয়গুলি সামলাতে পারবে। এইরকম সম্পদ গঠন করার জন্য চাই স্থিতিশীলতা।
স্থিতিশীলতা অর্জন করার পর দরকার বিনিয়োগে ভারসাম্য এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা। নিয়মিত পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা বা বাজারের গতিবিধি দেখে না ভেবে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকা দরকার। বিনিয়োগকারী হিসাবে বাজারের গতিপ্রকৃতি, বিনিয়োগের ধরণ, ঝুঁকির সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। বাজার সম্পর্কে যত সচেতন হয়ে বিনিয়োগ করা যায়, তত বেশি মাত্রায় অর্থবৃদ্ধি সম্ভব। মাসিক বিনিয়োগ শুরু করে আচমকা তা বন্ধ করে দিলে তাতে অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Advertisement
অর্থবৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে দরকার অর্থসম্প্রসারণের দিকে মনোযোগ দেওয়া। থিম্যাটিক ফান্ড বা স্মার্ট বিটা প্রকল্পের মতো উপযুক্ত বিকল্প বিনিয়োগক্ষেত্রগুলি খুঁজে তাতে বিনিয়োগ করা দরকার। যে কোনো বিনিয়োগকারীর দরকার নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা। এই সমস্ত দিকগুলি মাথায় রাখলে সঠিকভাবে অর্থবৃদ্ধি এবং সম্পদ গঠন করা সম্ভব হবে।
Advertisement
Advertisement



