বালি দুর্নীতি মামলায় ধৃত কলকাতার ব্যবসায়ী অরুণ সরাফকে শুক্রবার আদালতে পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতে ইডি দাবি করেছে, তদন্তে বালির হিসাবে গরমিল ধরা পড়েছে। অভিযুক্তের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অরুণই টাকার লেনদেন করতেন। তিনিই বেনিফিসিয়ারি ছিলেন। এদিন আদালতে অরুণের তরফে লিখিতভাবে জামিনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি। মৌখিকভাবে জামিনের আবেদন করা হয়।
শুক্রবার বিচারভবনে এই মামলার শুনানি হয়। এজলাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, একজনের পক্ষে এই দুর্নীতি করা উচিত নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বালির স্টক মিলিয়ে দেখতে ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাস্তব ও খাতায়কলমে বালির হিসাবে গরমিল আছে। এবিষয়ে অরুণের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, অরুণই টাকাপয়সার লেনদেন করতেন। এই বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডির তরফে আদালতে আরও জানানো হয়েছে, তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে কয়েকটি নথি নিয়ে ব্যবসায়ীকে জেরা করার দরকার রয়েছে। তদন্তের জন্য একাধিক জায়গায় গিয়েছে বালির স্টক খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীর আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য জানান, মৌখিকভাবে তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ার দিকে বালি পাচার মামলায় ব্যবসায়ী অরুণ সরাফকে গ্রেপ্তার করে ইডি। শহরের একটি নামী মাইনিং সংস্থার শীর্ষ পদে রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বালি সংক্রান্ত ৭৮ কোটি টাকা তছরুপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছে, অরুণের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণও রয়েছে।
Advertisement