বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সেদেশের বাসিন্দা রাশিদুল গাজি। তারপর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের তরুণীকে বিয়ে করেন। শুধু তাই নয়, শ্বশুর ও শাশুড়িকে বাবা ও মা বানিয়ে তৈরি করে ফেলেছিলেন ভোটার কার্ডও। এমনকী নিজের নামও পাল্টে ফেলেছিলেন। এসআইআর আবহে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, রাশিদুল গাজি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার দেভাটা থানার বাসিন্দা। ২০১২ সালে অবৈধভাবে তিনি বসিরহাট এলাকা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর তিনি কাজের সূত্রে চলে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুতে। সেখানেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের শ্রীধরকাটি এলাকার বাসিন্দা রুমেশার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। রুমেশাও তামিলনাড়ুতে কাজের সূত্রেই গিয়েছিলেন। দুই জনের মধ্যে ধীরে ধীরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। রুমেশার সঙ্গে রাশিদুলও হিঙ্গলগঞ্জে চলে আসেন।
রাশিদুলের ভারতের পরিচয়পত্র না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। রুমেশার সঙ্গের বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে নাম বদলে ফেলেন রাশিদুল। সেই পরিবর্তিত নাম দিয়েই অবৈধভাবে বানিয়ে ফেলা হয় ভোটার কার্ড। রাশিদুল নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় আবদুল গাজি। পরিচয়পত্র বাবা–মায়ের নাম ছাড়া তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই বাবা–মায়ের নামের স্থানে শ্বশুর–শাশুড়ির নাম দেন রাশিদুল। এরপরই তৈরি হয়ে যায় তাঁর ভোটার কার্ড। এমনকী তাঁর নাম পশ্চিমপাড়ার ২০৮ নম্বর বুথের ভোটার তালিকাতেও উঠে যায় বলে অভিযোগ।
রাজ্যে এসআইআর আবহে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময় রাশিদুলকে ভুয়ো ভোটার কার্ড পাইয়ে দিয়েছিল সিপিএম। যদিও সিপিএম এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছে। এই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।