• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

মুক্ত প্রজননের পরিবেশ তৈরি, রেড পান্ডা সংরক্ষণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাজ্যের

বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডা সংরক্ষণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক উপায়ে এই লুপ্তপ্রায় প্রজাতিটির বংশবিস্তার নিশ্চিত করা এবং তাদের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের বন দপ্তর।

বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডা সংরক্ষণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক উপায়ে এই লুপ্তপ্রায় প্রজাতিটির বংশবিস্তার নিশ্চিত করা এবং তাদের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের বন দপ্তর। সম্প্রতি সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে মোট ন’টি রেড পান্ডাকে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখাই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য। 

বন দপ্তর সূত্রে খবর, মুক্ত পরিবেশে পান্ডাগুলি বেশ ভালোভাবেই মানিয়েই নিয়েছে। সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক তথ্য হল তারা ইতিমধ্যেই প্রজনন শুরু করেছে। তবে তাঁদের মুক্ত পরিবেশে রাখলেও সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর দূর থেকে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখা হচ্ছে।

Advertisement

এই সফল প্রকল্পের পিছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো চিড়িয়াখানায় সাফল্যের সঙ্গে জন্ম নেওয়া পান্ডাদের বনাঞ্চলে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের প্রাকৃতিক প্রজননের পথ প্রশস্ত করা। পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রেড পান্ডা ক্যাপটিভ ব্রিডিং অ্যান্ড রি-ইনট্রোডাকশন প্রোগ্রাম’-এর অধীনে কাজ করছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজ়ারভেশন অফ নেচার সংস্থা রেড পান্ডাকে বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করায়, সিঙ্গালিলা এবং নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানকে তাদের সুরক্ষিত বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলিতে চোরাশিকার রুখতে বন দপ্তর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি, জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামগুলিতে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দারা সংরক্ষণে অংশ নিতে উৎসাহিত হন।

Advertisement

Advertisement