ভারতের প্রথম আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ জয় অলরাউন্ডার আমনজ্যোৎ কৌরের অসুস্থ ঠাকুমাকে ‘নতুন জীবন’ দিয়েছে, সোমবার এমনটাই জানালেন ক্রিকেটারের বাবা ।
আমনজ্যোৎ-এর ঠাকুমা, ৭৫ বছর বয়সী ভগবন্তী কৌর, সেপ্টেম্বরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শয্যাশায়ী। ৫৪ বছর বয়সী এবং পেশায় কাঠমিস্ত্রি ভূপিন্দর সিং, যিনি তাঁর মেয়ের প্রথম ব্যাটটি নিজ হাতে তৈরি করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘ভারতের জয়ের খবর এবং আমনজ্যোৎ-এর পারফরম্যান্স আমার মাকে নতুন জীবন দিয়েছে।’
Advertisement
তিনি জানান, ফাইনাল ম্যাচটি বাড়িতে দেখার জন্য পরিবারের অনুরোধে চিকিৎসকরা ১ নভেম্বর তাঁর মাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। ভূপিন্দর আইএএনএসকে বলেন, ‘তিনি শয্যাশায়ী হলেও সজ্ঞানে ছিলেন। যখন আমরা তাঁকে জয়ের কথা বললাম, তিনি চোখ খুললেন।’
Advertisement
ফাইনালে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে পরাজিত করে। আমনজ্যোৎ ১৫ বছর বয়সে কোচ নাগেশ গুপ্তার অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। তিনি একজন বোলার হিসেবে প্রশিক্ষণ শুরু করলেও পরে অলরাউন্ডার হিসাবে গড়ে ওঠেন। ২০১৭-১৮ সালে তিনি পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক করেন, ২০১৯-২০ সালে চণ্ডীগড়ের হয়ে খেলেন এবং ২০২২-২৩ সালে পঞ্জাবে ফিরে আসেন।
মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর নেওয়া ক্যাচটি ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়।
ভূপিন্দর জানান, তাঁর মা-ই আমনজ্যোৎকে ক্রিকেট খেলার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়ির কাছে যখন আমনজ্যোৎ ছেলেদের সঙ্গে পাড়ার ক্রিকেট খেলত, আমার মা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তা দেখতেন।” ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার আগে আমনজ্যোৎ হকি, হ্যান্ডবল এবং ফুটবলও খেলেছেন।
আমনজ্যোৎ-এর বাবা আরও জানান যে, জয়ের পর তাঁর মেয়ে রাত প্রায় ১টা নাগাদ পরিবারকে ফোন করেছিল এবং কয়েক দিনের মধ্যেই সে বাড়ি ফিরবে। তিনি বলেন,’ভারতের জয় এবং ওর পারফরম্যান্স আমার মাকে আরও দীর্ঘজীবী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তিনিই আমনজ্যোৎ-এর সাফল্যের পেছনের চালিকা শক্তি।’
Advertisement



