রাজনৈতিক বৈরিতার মাঝেও পেশাগত বাধ্যবাধকতার জেরেই এক ছাদের তলায় মিঠুন চক্রবর্তী কুণাল ঘোষ। একসময় তাঁরা সহকর্মী হলেও, বর্তমানে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে দু’জনের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলাও দায়ের করেছিলেন মিঠুন।
তাঁদের দুজনের একই স্টুডিয়োতে ডাবিং নিয়ে উদ্বেগে ছিল গোটা টিমই। দু’জন যদি মুখোমুখি হন, তবে কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি ডাবিং স্টুডিওতে নিজেদের ছবির কাজ সারতে উপস্থিত হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ ও মিঠুন চক্রবর্তী।
Advertisement
জানা গিয়েছে , রবিবার ওই ডাবিং স্টুডিওর দু’টি ভিন্ন তলায় তাঁদের কাজ হয়। এক তলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ পরিচালক অরিন্দম শীলের ‘কর্পূর’ ছবির ডাবিং করবেন, ঠিক সেই একই সময়ে অন্য ফ্লোরে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর ‘প্রজাপতি টু’ ছবির ডাবিংয়ের কাজ শুরু করবেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে ছবির পরিচালক অরিন্দম শীল কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করলেও, তিনি আগেই জানিয়ে দেন যে তাঁর কাজের সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। যদিও শনিবার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর ছিল, রবিবার কুণালের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া এড়াতে মিঠুন হয়তো শনিবারই ডাবিং করে ফেলতে পারেন। কিন্তু শেষমেশ সকল জল্পনা ভুল প্রমাণিত করে দুই যুযুধান নেতা একই দিনে, একই স্টুডিওতে ডাবিংয়ের জন্য হাজির হলেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, তাঁদের এই রাজনৈতিক বৈরিতা নতুন নয়। জুলাই মাসে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষের নাম শুনেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘বুম ছুড়ে ফেলে দিতে’ দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, কুণাল ঘোষও একাধিকবার প্রকাশ্যে বাক-বিতণ্ডায় পদ্মশিবিরের এই নেতাকে নিশানা করেছেন। রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তাঁদের এই বাগ্যুদ্ধ বিনোদন জগতেও আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে এই বিরোধ মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়িয়েছে। মিঠুনের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের পাঠানো আইনি চিঠির কড়া জবাব দিচ্ছেন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। শীঘ্রই হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
Advertisement



