রাষ্ট্রসঙ্ঘে ফের কাশ্মীর ইস্যু তুলে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়াতেই পাল্টা জবাব দিল দিল্লি। পাকিস্তানের ‘অবৈধ দখলে থাকা’ পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-এ লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব হল ভারত। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা— এই তিন ক্ষেত্রেই ইসলামাবাদের দিকে আঙুল তুললেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাবে হরিশ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ধারা মেনে নিজেদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। পাকিস্তানের কাছে এই ধারণা হয়তো ভিন্গ্রহের ব্যাপার মনে হয়।’ তাঁর কথায়, ‘আমরা পাকিস্তানকে বলব, ওদের অবৈধ দখলে থাকা কাশ্মীরের এলাকায় চলতে থাকা মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন ও দমননীতি অবিলম্বে বন্ধ করুক।’
Advertisement
হরিশ আরও জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেনার শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের কণ্ঠরোধ করতে গুলি চালানো, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নারী নির্যাতনসহ নানা অপরাধ চালাচ্ছে পাক সেনা।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, অক্টোবরের গোড়াতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নাগরিকরা ‘মৌলিক অধিকার’ এবং ‘স্বশাসনের দাবিতে’ পথে নামেন। সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেই সময় পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও তখনই পাকিস্তানি বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘ইসলামাবাদ তারই নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করছে।’
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের এই বক্তব্য পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। দিল্লির মতে, কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রচার চালানোর বদলে পাকিস্তানের উচিত নিজেদের ভূখণ্ডে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা।
Advertisement



