ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা একসঙ্গে ২৫ জন রূপান্তরকামীর। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বুধবার এই ঘটনা ঘটে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার বসন্ত কুমার নিঙ্গাওয়াল বলেছেন, ‘আমাদের হাসপাতালে প্রায় ২৫ জন ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ ভর্তি হয়েছেন। তাঁরা একসঙ্গে ফিনাইল খেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এখনই এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, সকলেরই শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজেশ দণ্ডটিয়া বলেছেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে যে একসঙ্গে এতজন রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের লোকেরা কী খেয়েছিল এবং কেন খেয়েছিল।’ তদন্তকারী আরও এক পুলিশকর্তা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের দু’টি স্থানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধজনিত সম্পর্ক থাকতে পারে।
Advertisement
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এই বিষয়ে কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। কিন্তু পরে রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, রূপান্তরিত এক মহিলাকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ ছিল ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে এই পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা।
Advertisement
ইন্দোরের নন্দলালপুরায় ‘কিন্নর ডেরা’ নামে একটি বাড়িতে রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বসবাস করেন। নেহা কুনওয়ার নামে সেখানকার এক রুপান্তরকামী জানিয়েছেন, অক্ষয় কুমায়ুন ও পঙ্কজ জৈন নামে দুই ব্যক্তি, নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে একজন ট্রান্স মহিলার সঙ্গে আলাপ জমায়। এর পরে তাঁরা ওই ট্রান্স মহিলার মানহানি করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার হুমকি দেওয়া শুরু করে। এই ভাবে ব্ল্যাকমেল করে তাঁর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এর পরে গত ১২ জুন অভিযুক্তরা ডেরায় গিয়ে ওই ট্রান্স মহিলাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই এই পদক্ষেপ করেন ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির ওই ২৫ জন সদস্য। তবে এটিই একমাত্র কারণ কিনা তা জানতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
Advertisement



