কথায় বলে ‘পৃথিবীটা গোল!’ বাস্তব জীবনের বৃত্তও কতটা নিখুঁত হতে পারে, তার জীবন্ত উদাহরণ রাগিনী দাস। একসময় যে সংস্থা তাঁকে নিয়োগ দিতে অস্বীকার করেছিল, আজ সেই গুগলেরই ‘স্টার্ট আপ’ শাখার নেতৃত্বে বসেছেন তিনি। এই ঘটনাকে নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করে রাগিনী লিখেছেন, ‘জীবনটা সত্যিই বৃত্তাকার।’
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে গুগলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন রাগিনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুযোগ পাননি। হতাশ না হয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন অন্য পথে। একটি অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই নিজের যোগ্যতা, নেতৃত্বগুণ এবং পরিশ্রম দিয়ে ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার গুরুগ্রামে জন্ম রাগিনীর। স্কুলজীবন কেটেছে চেন্নাইয়ে। পরে ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন’-এ স্নাতক হন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে নিজস্ব সংস্থা গড়ে তোলেন। নিজের উদ্যোগে এগিয়ে চলা সেই সংস্থা প্রথমে সাফল্য পেলেও এ বছরের জুনে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে।
Advertisement
তবু ভাগ্য যেন অপেক্ষা করছিল বড় চমকের জন্য। ঠিক সেই সময় গুগল থেকেই আসে নতুন প্রস্তাব, ‘স্টার্ট আপ’ প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান। আর এ বার আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি রাগিনী।
গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের নতুন লক্ষ্য বিশ্ব জুড়ে আরও বেশি করে নতুন উদ্যোগ বা ‘স্টার্ট আপ’ তৈরি করা। আর সেই দিক নির্দেশের দায়িত্বে থাকছেন রাগিনী দাস।
তাই যে গুগল এক সময় তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, আজ সেই সংস্থারই গুরুত্বপূর্ণ শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এ যেন এক জীবন্ত প্রমাণ। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় কখনও ব্যর্থ হয় না, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা করে মাত্র।
Advertisement



