কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। প্রাথমিকে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা। হাইকোর্টের পুজোর অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ ২০১৭ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। আগামী ৯ অক্টোবর মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজো মিটলেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগে সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা। ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর ভুল নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন বলে দাবি মামলাকারীদের। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিটি গঠন কার হয়েছিল।
Advertisement
গত জুলাই মাসে চার সপ্তাহের মধ্যে সেই কমিটির মতামত রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছিল। দেওয়া সেই রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। ফলে আইনি জটে আটকে ওই দুই বছরের চাকরিপ্রার্থীরা। তাই এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তাঁরা। ১ অথবা ২ নম্বরের জন্য অনেকেই টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
২০২৫-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার দাবি তুলেছে পরীক্ষার্থীরা। অন্যথায় আগের জট না কাটা পর্যন্ত আদালত যাতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখে তার আর্জি জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সময়ে রিপোর্ট দিতে পারেনি। তাহলে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে কেন বঞ্চিত হবেন মামলায় সেই প্রশ্নও তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা।
Advertisement



