• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অভিমন্যু

ওদের কাছে বিদায় নিয়ে মূল জায়গায় পৌঁছে দেখে মেলা মানুষের ভিড়। একটু ভিড় ছেড়ে এগিয়ে আসতেই চোখে পড়ে দিল্লি কা লাড্ডু বিক্রেতা।

কাল্পনিক চিত্র

বিশ্বজিৎ সরকার

বাড়ি থেকে বেরুবার সময় বউ সাবধান করে দিল, ‘রাস্তার লোকেদের সঙ্গে বেশি কথা কইবে না। কোনও ব্যাপারে জড়াবে না নিজেকে, মনে রেখো এই ভুবনের ভার তোমার উপর নেই।’ ছোটবেলা থেকে একান্নবর্তী পরিবারে বড় হওয়া সুবিমল এই ভার বইতে বইতেই জেনে ফেলেছে সত্যিকারেরর জীবনরঙ্গে কোনও দর্শক নেই, সবাইকেই ভুমিকা নিতে হয়। আর সেই ভাবনা থেকেই মাঝে মধ্যেই অভিনেতার ভুমিকায় নেমে পড়ে সে। তার মনে হয়েছে চারদিকের নানান চলমান অপ্রীতিকর ঘটনা আমরা যারা দেখেও দেখি না বা দেখে এড়িয়ে চলি, তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের কবর খুঁড়ে চলেছি। কেননা কোনও সমস্যাই জনগণের নয়, দেশের নয়, সব পারতপক্ষে প্রত্যেকের নিজের সমস্যা। যে অন্যায় দুর্নীতির ঘটনাটি তার চোখের সামনে ঘটে গেল, ওই একই ধরনের ঘটনা পরে তাকেই ছোবল মারে। এ তার নিজের ৪৫ বছরের জীবনের অভিজ্ঞতা। তাই ‘সাধারণ জনগণের কিছু করার নেই’ এই ধারণায় সে বিশ্বাসী নয়। সাধারণ মানুষের অনেক কিছু করার আছে এটাই সে তার নিত্যদিনের চলার পথে খুব সচেতনভাবে প্রচার করে, নিজের জীবনে প্রয়োগ করে। এজন্য যে তাকে খুব বেশি সময় দিতে হয় তা নয়, প্রতিদিনের কাজের মধ্য দিয়েই এটা করে চলে সে।

Advertisement

আজ হুগলি জেলার এক শহরের উৎসবে চলেছে সে। কিন্তু ব্যাণ্ডেলে পৌঁছে জানতে পারে, কাটোয়া লাইন বন্ধ। অগত্যা স্টেশনে নেমে অটো বা বাসের সন্ধানে চলে আসে বাইরে। বেরিয়ে দেখে এক অটোতে তিনজন সওয়ারি বসে, তাদের রিজার্ভে নিয়ে যাবে উৎসবের মেলায়। সে বসে পড়ে বাম দিকের সিটে, এবার ছাড়ার পালা। ছোকরা অটোচালক রিজার্ভে নিয়ে যাচ্ছে, বামদিকের সিট ভরে যাওয়া সত্ত্বেও আর একজনকে বসাতে চায় ডানদিকে। এমনিতে অনেক দেরি করে ফেলেছে বলে তিন যাত্রীর মধ্যে বিরক্তি অসন্তোষ, কিন্তু বিদেশ বিভুঁই বলে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। এবার কিন্তু তাকে ভুমিকা নিতেই হল। সরাসরি চালকের কাঁধে হাত রেখে বলল, ‘ব্রাদার, তুমি তো রিজার্ভে নিয়ে যাচ্ছো, এতক্ষণ বসিয়ে রেখেছ! ওঁরা অনুষ্ঠান দেখতে যাচ্ছেন, সেটা যদি শেষই হয়ে যায়! আমি আসায় তো তোমার চারজন হয়ে গেল, এবার চল।’ ছেলেটার মন সায় দেয় না। এবার সে তার কিস্তি চাল দেয়, ‘তাহলে ওঁদের নামতে বলি আর একটু বেশি পয়সা দিয়ে অন্য অটো ধরি’। সুবিমলের চোখমুখের অভিব্যক্তি দেখে অটো গড়াতে শুরু করে।

Advertisement

শহর ছেড়ে অটো আমবাগান পাশে ফেলে এগুতে থাকে পিচ রাস্তা বেয়ে। হেমন্তের হিমেল হাওয়ার ছোঁওয়ায় টগবগ করে ফুটছে সুবিমলের মন। শহর এবং গ্রামের সহাবস্থান এখানে। সবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কোনোখানে আবার জমির উপরই তোলা হয়েছে বড় বাড়ি। মাঝে মধ্যে আমের বাগান, পল্লবিত তার শাখা প্রশাখা, কয়েক মাস পরই তার এই দেহ ভরে উঠবে মুকুলে। প্রকৃতির এই রূপ দেখতে দেখতে কথার সুরে সেই মন ঢুকে পড়েছে ছোকরা অটোচালকের কাছে— বাড়িতে বৃদ্ধা অসুস্থ মা, সেইজন্য আরও দু’পয়সা রোজগারের চেষ্টা। আরও অনেক কিছু…। নামার সময় আর একটা নাটক করে বসল সুবিমল— ‘আচ্ছা, আপনারা তো অনেকক্ষণ বসে ছিলেন হয়ত আরও দেরি হত। ছোকরার কথা তো শুনলাম, এতক্ষণের কথায় জানলাম ওর বাড়ির খবর। এক কাজ করি না সকলে, বাড়তি কুড়ি টাকা করে দিয়ে দিই না, কী বলেন? তার কথা কেউ অমান্য করে না। দিনের প্রথম খেলাটা মন্দ হয় না তার।


অটো ছেড়ে রাস্তা ধরে এগুতেই সুবিমলের চোখে পড়ে সারি সারি দোকান। দূর দূরান্ত থেকে নানান জিনিস নিয়ে এসেছে ফেরিওয়ালারা। সামান্য দূরে মেলার মূল জায়গা। রাস্তার দু’পাশেই বিচিত্র জিনিসের সম্ভার দেখে দেখে চলেছে সুবিমল। কত রকমারি জিনিস সে নতুন দেখে। একটু এগুতেই দেখে ম্যারাপ দিয়ে ঘেরা একটা পুলিশ বুথ। দুটো ছোকরা সিভিক মোবাইলে বুঁদ। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাদের দেখে সুবিমল, না তাদের নজর মোবাইলেই। তার একটু ঢুঁ মারার ইচ্ছা হয়, যেতেই খেয়াল হয় তাদের। সুবিমলের বেশভূষা দেখেই হোক কিম্বা তার অভিব্যক্তির জন্যেই হোক দু’জনে উঠে দাঁড়ায়, একটু সম্ভ্রমে। ভাবে, কোনও বড়কর্তা সিভিল ড্রেসে। তাদের মনের অবস্থা বুঝতে পারে সুবিমল। কিন্তু তাদের আশ্বস্ত করে বলে, ‘না না, আমি কোন ছদ্মবেশী বড়সাহেব নই। আমি তোমাদের বড় দাদার মত, একটা কথা বলছি— তোমরা দুজনেই মোবাইলে বুঁদ, দীর্ঘক্ষণ ধরে তোমাদের চোখ এদিকেই, তোমরা একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছ, সেটা কি ঠিকমত পালন করছো? তার গলায় শুভার্থীর সুর। হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন— নিচু স্বরে বলে একজন। এবার আর একটু কথা বাড়ায় সে— এটা তো গেল ডিউটির একটা দিক, অন্যদিকে ভেবে দেখ তোমাদের এই ছবি যদি কেউ তুলে তোমাদের এসপি-র হাতে তুলে দেয় অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়! তাহলে তোমাদের ক্ষতি, তোমাদের নতুন চাকরি! ছোকরা দুটি সায় দেয়। ভবিষ্যতে সাবধান হবে বলে জানায় সুবিমলকে।

ওদের কাছে বিদায় নিয়ে মূল জায়গায় পৌঁছে দেখে মেলা মানুষের ভিড়। একটু ভিড় ছেড়ে এগিয়ে আসতেই চোখে পড়ে দিল্লি কা লাড্ডু বিক্রেতা। বিক্রেতাকে দেখে এক অদ্ভুত মায়াবী ভাবনায় আক্রান্ত হয় তার মন। লাড্ডু বিক্রেতার সঙ্গে একটু কথা বলতে ইচ্ছা হয় তার। চল্লিশ বছর আগে সে এই জিনিস খেয়েছে, তার ছোটবেলার অনেক জিনিসই হারিয়ে গেছে, এটি এখনও আছে, এখন কেমন তার স্বাদ! চেখে দেখার এটাই উপযুক্ত সময়, উপরন্তু কথাও বলা যাবে। মধ্যবয়স্ক বিক্রেতার চোখে মুখে বিস্ময়। কিন্তু নিমেষেই বিস্ময় ভাঙে সুবিমলের সওদার রীতিতে। চল্লিশ টাকায় দুটো লাড্ডু কিনে একটা তার দিকে বাড়িয়ে বলে— ‘ভাই, প্রায় চল্লিশ বছর পর এই জিনিস খেতে মন গেল। কিন্তু মন গেলেই তো আর খাওয়া যায় না। এই বয়সে এই জিনিস একা একা খাওয়া শোভা পায় না, সঙ্গী পেলে দিব্যি খাওয়া যায়, খান না, আপনি খেলে আমারও খাওয়া’। আজ মাস দুয়েক হল এই কাজে নেমেছে বিক্রেতা, অন্য কাজেও তার অতীত অভিজ্ঞতা কম না, কিন্তু এমন কাস্টমার কখনো দেখেনি। এমনতর কথাও শোনেনি কখনো, তাও আবার এমন সাহেবসুবো মানুষের কাছে। একটু ভড়কে যায় সে। তার মুখ দিয়ে কথা বেরোয় না। তার চুপচাপ ভাব দেখে সুবিমল বলে, ‘তাহলে ফেলেই দিই দুটো’। এবার অনিচ্ছাসত্ত্বেও ও হাত বাড়ায়— লাড্ডুর প্লাস্টিক খুলে মনের আগলও খুলে দেয় সুবিমল। তার সহজ সুরে কথা বলার ঢঙে বিক্রেতাও উজাড় করে দেয় তার হৃদয়। স্থান-কাল ভুলে গিয়ে বিক্রেতা বলতে থাকে তার জীবনের গল্প, দুঃখের বারোমাস্যা। অনেকদিনের চেপে রাখা জীবনযন্ত্রণার ইতিহাস হুহু করে বেরুতে থাকে লাড্ডুওয়ালার মুখ দিয়ে। এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে এক বড় হাঁফ ছাড়ে ক্রেতা— ‘বাবু মায়ের থানে আজ ভগবান দর্শন হয়ে গেল, মনে হচ্ছে কাল থেকে আমার শুভ সময়। আজ থেকে নিজেকে আমার মানুষ বলে মনে হল।’ এমনভাবে কেউ কথা বলেনি এর আগে সুবিমলের কাছে। এমনতর কথা শুনে এবার সুবিমলের ভ্যাবাচাকা অবস্থা। তার গা বেয়ে একটু শিহরন খেলে যায়। সে উপলব্ধি করে— বঞ্চিত সাধারণ মানুষের জমে থাকা বঞ্চনা সমাধান তো দূরের কথা, শোনার লোকও নেই। এইসব মানুষগুলো জমানো ব্যথা নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। তাকে বলতে পেরে সে যেন ব্যথার ভার হাল্কা করল, তাই তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল এমন কথা। যাওয়ার সময় সুবিমল নমস্কার করে। লাড্ডুওয়ালার চোখে জল। পাঁচ মিনিটের লেনাদেনায় মানুষ যে এখনও কত আন্তরিক, এই শিক্ষা নিয়ে বিদায় নেয় সেখান থেকে।


এবার একটু চা খাবে সে। অচেনা বিভুঁইয়ে গেলে চা পান করার জন্য সে সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’-এর পথিকের মত আচরণ করে— কোথায় একটু ভাল চা পাই বলতে পারেন! ইদানীং প্রায় সব চায়ের দোকানই তার না-পসন্দ। কেননা এখন বড় এক ডিব্বায় সারাক্ষণই চা মজুত থাকে সব দোকানেই। যে আসে ঢেলে দেয় সবাইকেই। রাতারাতি কেটলি গায়েব! এটা তার খুব খারাপ লাগে। এই পরিবর্তনকে সে খাদ্যসংস্কৃতির রূপান্তর হিসেবেই দেখে। রাস্তার মোড়ে সে কয়েকজনকে ভালো চায়ের দোকানের কথা জিজ্ঞেস করতে তারা একটা জায়গার কথা বলে। সেখানে পৌঁছে দেখে পাঁচসাত জন কাস্টমার চা খাচ্ছে। কয়েকজন অপেক্ষায়, সঙ্গে আরো তিনটি কমবয়সী ছোকরাও চায়ের জন্য দাঁড়িয়ে। পাশাপাশি দুটো উনুন। একটিতে কেটলি আর একটিতে বড় সসপ্যান। তার ভাবনামতো এটিই সেই চায়ের দোকান।

— ভালো লাগে, এখনও ভালো খারাপের ভাবনা মানুষের মধ্যে যথেষ্ট বিদ্যমান। তারা তাকে সঠিক দোকানেই পাঠিয়েছে। হঠাৎ যুবক তিনটির একজনের কাঁধে হাত রেখে মাথার দিকে তাকিয়ে বলে— ‘এ কী ব্রাদার, পাঁচচুলে ছাঁট কেন তোমার! আগে গ্রামে যখন কেউ ছোটখাট অপরাধ করে বসত, তখন সবাই তাকে এমন পাঁচচুলে করে ছাড়ত, এখন দেখছি তুমি ও তোমার ওই বন্ধুর এই অবস্থা। ওই দেখ, তোমাদের আর এক বন্ধু কেমন সুন্দর করে চুলের সৌন্দর্য বজায় রেখেছে, সত্যিই দেখার মতো। নিজস্বতার গুণ ছড়িয়ে পড়েছে ওর সারা দেহে, আর তোমাদের কী বিশ্রী লাগছে। হয়ত বলবে, আমি কেমন চুল কাটব সেটাও কি আপনাদের মতো নীতিবাগীশরা ঠিক করে দেবেন! আমি বলছি, তোমার ছাগল ন্যাজ দিয়ে কাটবে না মাথা দিয়ে কাটবে, সেটা তোমারই ব্যাপার। কিন্তু ন্যাজ দিয়ে কাটলে সেটা দেখতে খারাপ লাগবে— কেউ কেউ হয়ত বলে এই আর কী! আর তাছাড়া এভাবে কাটতেও যে পরোক্ষভাবে কেউ বা কারা ঠিক করে দিচ্ছে না, এটাও ভাবা দরকার।’ ছেলেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে যায়, কিন্তু পালটা প্রতিবাদ করে না। অনেকেই ভেবেছিল ছেলেগুলো রেগে গিয়ে তর্কাতর্কি শুরু করে দেবে। কিন্তু সেরকম কিছু হল না, ছেলেগুলো শুনে গেল। সব কথার উত্তর দিতে গেলে মূর্খতারও সম্মান দিতে হয়, এই ভাবনারই জয় হল, ভেবে নিল অনেকেই। কিন্ত চা খাওয়ার পর একটি ছেলে বলল, কাকু এভাবে তো ভাবিনি কখনো। এবারে ভাবব। কী জানেন, এসব কথা জ্যেষ্ঠরা বলেন না।
জীবন পথের পথিক সুবিমল এভাবেই জীবিকা সম্পৃক্ত জীবনের বাইরে এসে জীবনের রসদ সংগ্রহ করে— কখনো ভূমিকা নেয় শিক্ষকের, কখনো বা ছাত্রের। এই একক আত্মগত লড়াইয়ে সে অনুভব করে নিজের সামাজিক ভূমিকা, রাজনৈতিক সত্তার দায়িত্ববোধ। শেখা এবং শেখানো তার কাছে দর্শন। সে খেয়াল রাখে শেখানোর সময় যথাসম্ভব বিনয়ী এবং আন্তরিক হতে। আপ্রাণ চেষ্টা করে আজন্মলালিত অহংবোধ গরিমা এবং মাস্টারি সুলভ আচরণ নিশ্চিহ্ন করতে। তবু সে মাঝে মাঝে ফেল করে, কেন এমন হয় এটাই এতক্ষণ ভাবতে ভাবতে চলছিল। এই ভাবতে ভাবতে সে যে রাস্তায় এসে পড়ে তার সামনেই গঙ্গা। গঙ্গা দেখে তার মন আনন্দে ভরে যায়। গঙ্গার দুই তীরবর্তী পাড়ের দৃশ্যের সৌন্দর্য তাকে বরাবরই টানে, সে আরও কাছ থেকে দেখার উদ্দেশ্যে ক্রমশ ঢালু হয়ে যাওয়া সরু রাস্তা দিয়ে নেমে আসে। এখানে ভরা জল, দূরে দেখা যায় কয়েকটা নৌকা, ওপারে গাছঘেরা গ্রামের মেলা। সেই গাছ ছাড়িয়ে কোথাও কোথাও মাথা তুলে কারখানার চিমনি। বেশ কয়েক মিনিট খালি পাড় সংলগ্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে তন্ময় হয়ে ছিল। সামান্য তফাতে কয়েকটা গাছ। গাছের ডালপালা বিস্তৃত হয়ে ছায়ায় ঢেকেছে সেই জায়গাটা। সেখানে গোল হয়ে কিছু মানুষের ভিড়। হঠাৎ সেই ভিড় থেকে বার করে একটা বছর বাইশের ছেলেকে মারতে থাকে জনা পাঁচেক ছেলে ও লোক। ছেলেটি প্রাণপণ চেঁচাতে থাকে। এভাবে মারলে তো মরে যাবে! সে এগিয়ে যায় তাকে বাঁচাতে। সঙ্গে সঙ্গে একটি ছেলে সুবিমলকে দেখেই বলে, ‘এখানে কীকরে চলে এলেন, গঙ্গার শোভা দেখার এটা জায়গা নয়। আপনার মতো জেন্টেলম্যানের জায়গা নয় দাদা, চলে যান, চলে যান এক্ষুনি’। সুবিমল ভ্রুক্ষেপ করে না সেই কথায়, সে ঢুকে যায় ওই চক্রব্যূহে। ছেলেটাকে তো বাঁচাতে হবে! কিন্তু হঠাৎ সেখানে আসে পুলিশবাহিনী। পুলিশকর্তা হুঙ্কার ছাড়ে— ‘একটাকেও ছাড়বি না, সব কটাকে তোল। ও বাবা, এখানে আবার একটা নতুন ভদ্র পিসও আমদানি হয়েছে, ওটাও যেন না পালায় দেখিস।’

Advertisement