ভারতের জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী-সহ একটি ট্রলারকে আটক করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরে টহল দেওয়ার সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন রাতে একটি সন্দেহজনক ট্রলারকে দেখে সেখানকার মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতীয় উপকূলরক্ষীর বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁরা জানান, মাছ ধরার জন্য বাংলাদেশ থেকে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছিল ট্রলারটি। মাছ ধরার সময় জলসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়ে সেটি। এরপরই মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাংলাদেশের ওই ট্রলারটির নাম ‘মায়ের দয়া’। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া মৎস্যজীবীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার পূর্বচণ্ডীপুরে। বাকিদের বাড়ি ফিরোজপুর ও জিয়ানগরে।
Advertisement
সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী বঙ্গোপসাগরে একটি বাংলাদেশি ট্রলার আটক করে। ট্রলারে মোট ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। পরে তাঁদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগেও একধিকবার বাংলাদেশের ট্রলার জলসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে প্রবেশ করেছে। কয়েকদিন আগে একটি বাংলাদেশি ট্রলার থেকে ১৯ জন মৎস্যজীবীকে আটক করেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এবার ফের প্রতিবেশী দেশের একটি ট্রলার আটক করা হল। ট্রলারটি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে জলসীমা অতিক্রম করেছিল নাকি তাঁদের অন্য কোনও অভিসন্ধি রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Advertisement
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর জলসীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছিল একটি ভারতীয় ট্রলার। সেই সময় ভারতের মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ সরকার। পরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়।
Advertisement



