আজ আন্তর্জাতিক চকলেট দিবস। প্রতি বছর ১৩ সেপ্টেম্বর দিনটি বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক চকলেট দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনটিতে কেবলমাত্র চেয়ে চকলেটের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়, তাই-ই নয়, চকলেটের উৎপত্তি, সমৃদ্ধ ইতিহাস সহ সবকিছুই স্মরণ করা হয়
বিশ্ব বিখ্যাত চকলেট কোম্পানি হার্শির প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন এস হার্শির আজ জন্মদিন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। এর পাশাপাশি চকলেটকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার পিছনে হার্শির বড় ভূমিকা রয়েছে। মূলত তাঁর উদ্যোগেই সমাজের ধনী ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে চকলেট সর্বসাধারণের মন জয় করে নেয়।
Advertisement
চকলেটের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের পুরনো। মেসোআমেরিকার মায়া ও আজটেক সভ্যতায় কোকো একটি পবিত্র ও মূল্যবান উপাদান ছিল। তখন এটি পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হত এবং ধর্মীয় আচারেও এর ব্যবহার ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপ ও পরবর্তীতে গোটা বিশ্বে চকলেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
Advertisement
ভারতে চকলেটের যাত্রা শুরু হয় ১৭৯৮ সালে, তবে তা জনপ্রিয়তা পেতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে ক্যাডবেরি ভারতে এই শিল্প গড়ে তোলে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে কোকো চাষ শুরু হয় কেরালা, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে। আজকের দিনে ভারতীয় বাজারে ক্যাডবেরি ও নেসলে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
চকলেট বিভিন্ন প্রকারের হয়। এর মধ্যে ডার্ক চকোলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এর মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চকোলেট খেলে আমাদের মেজাজও ভালো হয়। এটি মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মন ভালো রাখে এবং স্ট্রেস কমায়। এতে থাকা ক্যাফেইন সতর্কতা ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত চকলেট স্বাস্থ্যের পক্ষে অপকারী।চকোলেটও যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তবে তা ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করা বৃদ্ধি এবং দাঁতের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে দুধ বা সাদা চকলেট, যাতে বেশি চিনি থাকে, তা নিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়াই ভালো।
তাই আজকের দিনে, এক টুকরো ডার্ক চকোলেট দিয়ে নিজেকে বা প্রিয়জনকে একটু খুশি করে তুলুন।
শুভ আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস!
Advertisement



