• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রক্তবীজ ২ আইটেম ড্যান্সে কামাল নুসরতের

রক্তবীজ ২-এর দ্বিতীয় গান প্রকাশের পর রীতিমতো বোমা ফেটেছে। আইটেম নম্বরে নুসরত জাহান মোহময়ী। আড্ডায় নুসরত। সঙ্গে সুস্মিতা বর্মণ।

প্রশ্ন: অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস, এবারের পুজোতে তোমার এই গান মনে হচ্ছে ছেয়ে যাবে।

উত্তর: আশা সেটাই করছি। এই অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস, এটা কিন্তু সবসময় সব ক্ষেত্রেই ইউজ করা যায় বলে আমার মনে হয়। বাউন্ডারি লাইন ক্রস করলেই এই কথাটা বলা যায়। এই কথাটা ভীষণ রেলেভেন্ট। আশা করছি মানুষের ভালো লাগবে।

Advertisement

প্রশ্ন: এই গানের অফার যখন পেলে তখন কী বলেছিলে?

Advertisement

উত্তর: এই গানের কথা যখন হয়, তখন আমি বিদেশে। আমার জন্মদিন ছিল। আমি বলেছিলাম, ফিরে গান শুনে জানাবো। শিবুদা বলেছিল, গান শুনে জানিও। গান শোনার পর মনে হল, গানের কথা খুব প্রাসঙ্গিক। আর এই গান একটা ইমপ্যাক্ট ফেলে ছবিতে। সে কারণেই এই গানটা করতে রাজি হই।

প্রশ্ন: শ্রেষ্ঠা গানটা গেয়েছে। এর আগে ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’ গেয়েছে। ‘বহুরূপী’তে। এই গানটাও মানুষের মনে থাকবে৷ তোমার কী মনে হয়?

উত্তর: সত্যি গানটা ভালো গেয়েছে। কথা সুর, সব মিলিয়ে অনবদ্য। আমি আনন্দিত যে, এই গানের পিকচারাইজেশনে আমি রয়েছি। আর গানটা বানানো হয়েছে, একদম টিমওয়ার্কে। কোরিওগ্রাফার, ডিওপিরা তো আছেনই ক্যামেরার পিছনের মানুষ, যিনি আমার কস্টিউম করেছেন তিনি, সক্কলের এফোর্ট ছাড়া এই কাজ হত না।

প্রশ্ন: পুজো তো তাহলে জমজমাট!

উত্তর: একদম আশা করছি। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের ভালো লাগবে। আমরা সবটা দিয়ে কাজ করেছি।

প্রশ্ন: ‘রক্তবীজ’ একটা হাইপ তুলেছিল। এবার তাই এক্সপেকটেশনটা একটু বেশি।

উত্তর: একদমই। আসলে দর্শক এখন বেশি সচেতন। তারা জানেন, তাঁরা কী দেখতে চান। পুজোয় এবার ভালো ভালো ছবি আসছে। আমি আশা করব, সব ছবি ভালো ব্যবসা করবে। আখেরে তাহলে বাংলা সিনেমার লাভ। আর ‘রক্তবীজ ২’ মানুষের ভালো লাগবে বলে মনে হয় আমার।

প্রশ্ন: সামনে পুজো, পুজোর কী প্ল্যান? কলকাতা না ছেলেকে নিয়ে বাইরে?

উত্তর: পুজো কলকাতায় কাটাবো। আমার ভালো লাগে কলকাতার এই পুজোর আমেজ। আমার ঠাকুর দেখতেও ভালো লাগে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। তবে খাওয়া দাওয়াটা মিস করি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে পারি না। ফুচকা খাওয়া হয় না রাস্তায় দাঁড়িয়ে বহু বছর।

প্রশ্ন : বেশ অনেক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটল তোমার। তোমার কী মনে হচ্ছে, চেঞ্জ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি?

উত্তর: চেঞ্জ তো সব জিনিসেই হয়। তুমি কীভাবে দেখছো?

প্রশ্ন: এই যে, কন্টেন্টের চেঞ্জ, তারপর বাংলা ছবির সময় বেঁধে দেওয়া।

উত্তর: এটা তো আরও আগে করা উচিত ছিল। ঠিক আছে, এখন হল। এটা একটা দারুণ বিষয়। অন্যান্য রাজ্যগুলো কিন্তু নিজের ভাষার কাজ, ভাষাকে গুরুত্ব দেয়। আর কন্টেন্ট তো ভালো হচ্ছেই বাংলায়। এখন অনেক ম্যাচিওর কাজ হচ্ছে।

প্রশ্ন: ১৬ বছর তুমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে, শুরু থেকে এখন, সেখান থেকে কেমন চেঞ্জ লক্ষ্য করো তুমি?

উত্তর: অনেকটাই। টেকনিক্যাল চেঞ্জ, কন্টেন্ট, কাজের ধরন, সব অনেক বদলেছে। আর এটাই প্লাস পয়েন্ট।

Advertisement