আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে— এমনই স্পষ্ট বার্তা দিলেন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি জানান, দেশের মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা রক্ষা করতেই তাঁরা বদ্ধপরিকর।
ফেব্রুয়ারি নিয়েই অনড় প্রশাসন। সরকারি সংবাদ সংস্থা বিএসএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগেই বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে। সেই সিদ্ধান্তে আমরা অনড়।’
Advertisement
২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, একসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও পদত্যাগের কথা ভেবেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি সিদ্ধান্ত বদলান এবং ঘোষণা করেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।
Advertisement
তবে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি সম্প্রতি দাবি করেছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সেই অবস্থায় দ্রুত ভোট আয়োজন কার্যত অসম্ভব।
এনসিপির এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ আইনি উপদেষ্টা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘অতীতেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের দিন নিয়ে নানা মন্তব্য হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে মত দিতেই পারে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত প্রশাসনেরই।’ তিনি আরও যোগ করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছিলেন, দেশের ১৩তম জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ইউনূস গোটা পৃথিবীর কাছে এক বন্দিত চরিত্র। তিনি যা বলেছেন, তা থেকে সরে আসার কোনও কারণ নেই।’
Advertisement



