ওয়াংয়ের ভারত সফরের আগে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের ঘোষণা করল চিন। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে আয়োজিত হবে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ। চিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ আয়োজনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজয়ের বার্তা দেবে বেজিং।
চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, কুচকাওয়াজে পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নতুন প্রজন্মের বিভিন্ন অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। বিশেষত চারটি নতুন জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র— ওয়াইজে-২০, ওয়াইজে-১৯, ওয়াইজে-১৭ এবং ওয়াইজে-১৫-কে কেন্দ্র করে সাজানো হচ্ছে মূল প্রদর্শনী। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনযুক্ত হাইপারসনিক মিসাইল, যা শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বা তারও বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম। এছাড়া থাকবে অত্যাধুনিক ড্রোন ও সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও।
Advertisement
সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে ওয়াইজে-২০ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সরাসরি চিনা টাপপ-৫৫ ডেস্ট্রয়ার থেকে ছোড়া সম্ভব এবং শত্রু দেশের বিমানবাহী রণতরী ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা একে ‘ক্যারিয়ার কিলার’ নামে আখ্যা দিয়েছেন।
Advertisement
এছাড়া প্রদর্শিত হবে ওয়াইজে-১২, ওয়াইজে-১৮ এবং ওয়াইজে-৮৩ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ সমন্বয়, যা চিনের সামরিক শক্তিকে আরও বহুমাত্রিক করে তুলবে। চিনা সরকারি দাবি অনুযায়ী, এ ধরনের বহুমাত্রিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বিশ্বের অন্য কোনও দেশের নেই।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের ভারত সফরের সময়েই এই ঘোষণা এল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ারও ইঙ্গিত বহন করছে। এদিনের কুচকাওয়াজে প্রায় ৪০ হাজার সেনা অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
জিনপিংয়ের নেতৃত্বে এটি হবে তাঁর তৃতীয়বার তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অনুষ্ঠানে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে চিন আন্তর্জাতিক মহলে শক্তির বার্তা দিয়ে এসেছে।
Advertisement



