ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল’ পদে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ নীতি খারিজ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি, মনমোহন এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণ সংবিধানের সমতার নীতির পরিপন্থী, মেধার ভিত্তিতেই প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে।
এতদিন সেনার ওই আইনি শাখার অফিসার নিয়োগে পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ছয়টি এবং মহিলা প্রার্থীদের জন্য তিনটি আসন নির্ধারিত ছিল। এই নীতির বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আরশনুর কউর এবং এক অন্য মহিলা প্রার্থী। মামলাকারীদের দাবি, তাঁরা যথাক্রমে মেধা তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিলেন, কিন্তু মহিলা প্রার্থীর জন্য মাত্র তিনটি আসন থাকায় তাঁরা নিয়োগের বাইরে থেকে যান।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘লিঙ্গ সাম্যের প্রকৃত অর্থ হল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যোগ্যতম প্রার্থীর নির্বাচন। যদি একজন মহিলা অফিসার রাফাল যুদ্ধবিমান চালাতে পারেন, তবে তাঁকে আইন শাখায় সুযোগ দিতে অসুবিধা কোথায়?’ আদালত আরও জানিয়েছে, এই ধরনের সংরক্ষণ চালু থাকলে কোনও দেশ নিরাপদ থাকতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, নারী-পুরুষ ভেদ না করে একটি সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং সেই তালিকার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।
Advertisement
আদালতের এই ঐতিহাসিক রায়কে লিঙ্গ-সাম্যের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে মেধাকে প্রধান্য দেওয়ার এই নির্দেশ ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
Advertisement



