• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

কফি হাউস থেকে ভারত সভা, ভারতে ইংরেজবিরোধী প্রথম প্রতিষ্ঠান

১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বিখ্যাত আলবার্ট হলে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারত সভার জন্ম হয়।

ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারত সভা সম্পর্কে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আত্মজীবনী ‘এ নেশন ইন মেকিং’ গ্রন্থে লিখছেন, “আমাদের মনে এই চিন্তা কাজ করেছিল যে, এই প্রতিষ্ঠান এক সর্বভারতীয় আন্দোলনের কেন্দ্র হোক। মাৎসিনির প্রেরনা  প্রসূত ঐক্যবদ্ধ ভারত ভাবনা, অন্তত সমগ্র ভারতকে এক সাধারন মঞ্চে উপস্থাপন করার ভাবনা বাংলার ভারতীয় নেতাদের মনকে আচ্ছন্ন করেছিল।”

সুরেন্দ্রনাথের এই চিন্তা সুপরিকল্পিত কর্মসূচির মাধ্যমে সফলভাবে রূপায়িত হয় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনে। প্রকৃতপক্ষে এটি ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ বিরোধী প্রথম প্রতিষ্ঠান।  জাতীয়তাবাদকে ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নকে রূপায়িত করার প্রথম সফল হাতিয়ার ছিল ভারত সভা। ভারত সভার প্রভাব এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা সেই সময় কোথায় গিয়ে পৌঁছেছিল তার প্রমাণ মেলে তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট আই সি এস- স্যার হেনরি কটনের মন্তব্যে। হেনরি এক জায়গায় বলছেন, “শিক্ষিত সমাজ দেশের কন্ঠ ও মস্তিষ্ক। শিক্ষিত বাঙালিরা এখন পেশোয়ার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত জনমত নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঢাকা থেকে মুলতান যুব সম্প্রদায়ের মনে সমান প্রেরণা যোগায়।” মনে রাখতে হবে ভারত সভার সদস্যদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল যুব ও ছাত্র এবং শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। প্রথম থেকেই যুব ছাত্র এবং শিক্ষিত সমাজের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজ বিশেষ করে যুব ছাত্ররা তাই অকুতোভয় হয়ে সুরেন্দ্রনাথের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সুরেন্দ্রনাথের শিক্ষা দীক্ষা মার্জিত আচরণ, তাঁর নীতি আদর্শ, সর্বোপরি তার অকল্পনীয় বাগ্মিতা এই এই কঠিন কাজকেই সফল করতে সাহায্য করেছিল। যে কারণে সারা ভারতে দ্রুত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। শুধু বাংলার মফসল এলাকাতেই ভারত সভার ১২৪টি শাখা স্থাপিত হয়েছিল।

Advertisement

১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বিখ্যাত আলবার্ট হলে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারত সভার জন্ম হয়। আলবার্ট হল, যা বর্তমানে কফি হাউস নামেই জনপ্রিয়। ভারত সভার প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন রেভারেন্ট কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায়, সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন আনন্দমোহন বসু। ভারত সভার প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাণপুরুষ ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের যে মুখপত্র ‘বেঙ্গলি’র  সম্পাদক ছিলেন তিনি। ভারত সভায় ছিলেন আরো কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যেমন, শিবনাথ শাস্ত্রী, দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী, লালমোহন ঘোষ, রামতনু লাহিড়ী প্রমূখ। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন চাঁদা ছিল পাঁচ টাকা। কৃষক সমাজের জন্য ধার্য হয়েছিল ১ টাকা। সংগঠনের ৩৩ শতাংশ ছিল শিক্ষক, ৩৫ শতাংশ আইনজীবী যার মধ্যে নামকরা বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার ছিলেন অনেকেই, আর এই সংগঠনের সদস্যদের প্রায় ৫৪ শতাংশ ছিলেন ব্রাম্ভ সম্প্রদায়ভুক্ত। ভারত সভায় অধিকাংশ সদস্য ‘উদীয়মান মধ্যবিত্ত বাঙালি’ হলেও এর মধ্যে প্রায় সকল ধরনের মানুষ ছিল। কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ কর্মচারী, তাছাড়া ছিল উচ্চশিক্ষিত, উচ্চ বংশেরও কিছু প্রতিনিধি। তবে ভারত সভায় কখনোই স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান হয়নি। বিশেষ করে যারা গরিব মানুষের শোষণকারী, ব্রিটিশ পদলেহনকারী তাদের থেকে দূরেই থেকেছে ভারত সভা, তাই এই প্রতিষ্ঠানে কোন জমিদার বা ইউরোপীয ছিলনা।

Advertisement

ভারতে এক যুগ সন্ধিক্ষণে ‘ভারত সভা’র জন্ম। যখন মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্বাধীনতা স্পৃহা জাগছে, যখন মানুষের মন ইংরেজ অপশাসনের বিরুদ্ধে বিষাক্ত হয়ে উঠছে অথচ তাদের মনের কথা বলার, তাদের কথা শোনার কোন লোক নেই, কোথাও যাবার কোন স্থান নেই, সেই সময় সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নিল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন যাকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনও বলা হত, বাংলায় ‘ভারত সভা’। সুরেন্দ্রনাথ অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি কোন হঠকারিতায় বিশ্বাস করতেন না। তিনি মনে করতেন চাষ করার আগে যেমন জমি তৈরি করতে হয় উর্বর ভূমিতেই  ভালো ফসল হয় নতুবা শুধু মাঠে চাষ হয় না। তাই তিনি ভারত সভার উদ্দেশ্য নীতি ও কর্মসূচিতে সুপরিকল্পিতভাবে সেগুলোকে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন মানুষের রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটানোর জন্য। ভারত সভার প্রধান প্রধান কর্মসূচিগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।

কর্মসূচি ও উদ্দেশ্য

১, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা। ২, ধর্মীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। ৩, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ গড়ে তোলা। ৪, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো। ৫, ব্রিটিশ অপশাসনের এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা।

সুরেন্দ্রনাথ শুধু কর্মসূচি তৈরি ও ঘোষণা করেই স্থির থাকলেন না, তাকে সঠিকভাবে কার্যকরী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে লাগলেন। প্রথমে সারা বাংলায় গড়ে তুললেন প্রায় ১২৪টি শাখা। তারপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার শুরু করলেন এবং তার অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতা ও বাগ্মিতায় ভারতবর্ষে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ক্রমশ শক্ত ভিত গড়ে তুলল। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের শাখা গড়ে উঠলো, যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য লখনৌ, মিরাট, লহোর, সিন্ধু শাখা। তাছাড়া ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক গোষ্ঠী তারা তাদের মতন করে রাজনৈতিক লড়াই  করছিলেন, অনেক স্থানে বিপ্লবীরা বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছিলেন, এই সকল নেতৃবৃন্দ এবং আঞ্চলিক সংগঠনগুলিকে তিনি একটি ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করলেন এবং  ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে যুক্ত করতে সফল হলেন। অর্থাৎ স্বাধীনতার প্রস্তুতির জন্য তিনি তৈরি করে ফেললেন এক উর্বর জমি যার উপর ভিত্তি করেই ফসল স্বরূপ জন্ম নিলো ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।

গণআন্দোলন

১৮৭৬ থেকে১৮৮৫, কংগ্রেসের জন্মের আগে প্রায় এক দশক সারা ভারতে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন মূলত রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করেছে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সফল আন্দোলনগুলির মধ্যে ছিল লর্ড লিটন কর্তৃক আই সি এস পরীক্ষায় বয়স কমিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন, লিটনের দেশীয় সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮) বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন, ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আইনের বিরোধিতা। সুরেন্দ্রনাথের আন্দোলনের ফলে ১৮৮১ সালে লর্ড রিপন এই আইন বাতিল করেন। লর্ড রিপন ইলবার্ট বিল দ্বারা ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজদের বিচার করার অধিকার দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে স্বেতাঙ্গরা তীব্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনকে সুরেন্দ্রনাথ পাল্টা আন্দোলন দিয়ে দমন করেছিলেন। তাছাড়া কৃষকদের ওপর জমিদার ও ইংরেজ শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারত সভা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, বিশেষ করে শোষণমূলক আমদানি ও শুল্ক আইন, সম্পদের নিষ্ক্রমণ, আসামে কুলিদের ওপর অত্যাচার প্রভৃতি ভারত সভার আন্দোলনে অনেকাংশে বন্ধ হয়েছিল। ভারত সভার উদ্যোগেই স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ এবং সেই সময় জাতীয় ভান্ডার তৈরি করা হয়েছিল সুরেন্দ্রনাথের পরিকল্পনায়। তাছাড়া প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন পরিষদ তৈরি, প্রজাস্বত্ব আইন তৈরি করা, স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তন, মদ্যপান নিষিদ্ধ করা প্রভৃতি আন্দোলনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারত সভা এবং  সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী, লালমোহন ঘোষ প্রমুখ। এমনকি যেখানে ভারতের মাটিতে আন্দোলন করে সফলতা আসছিল না সেখানে সুরেন্দ্রনাথ অন্য পন্থা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লালমোহন ঘোষকে পাঠিয়েছিলেন ভারতের বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।ফলে ইংরেজ সরকার ভারতের দাবি অনেকাংশে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, যার মধ্যে একটি উদাহরণ হল স্ট্যাটুটারি সিভিল সার্ভিস প্রবর্তন।

ভারত সভার রাজনৈতিক গুরুত্ব

ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম এবং সুদূর প্রসারী। ক্রমে সারা ভারতবর্ষের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী, বিপ্লবী দল তারা সকলেই উপলব্ধি করলেন যে, একটি সত্যিকারের রাজনৈতিক দল ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না। আর এই উপলব্ধি আরো গভীরতা লাভ করল আরো সংঘটিত রূপ নিল যখন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রচেষ্টায় একটি সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো কলকাতায় ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে। যার আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছিল All India National Conference । এই মহাসম্মেলন প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেসের জন্মের আঁতুঘর হিসেবে দেখা দিল। তাই ডঃ অমলেশ ত্রিপাঠী লিখেছিলেন, “সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন জাতীয় কংগ্রেসের মহড়া”! প্রকৃতপক্ষে এই সম্মেলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই হিউম ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করলেন ‘ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’। অবশ্য কংগ্রেস প্রতিষ্ঠাকালে সুরেন্দ্রনাথ কিছুটা উপেক্ষিত রইলেন। এর প্রধান কারণ তৎকালীন কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্ব জানতেন সুরেন্দ্রনাথ মানেই ‘সারেন্ডার নট’, তাকে পুতুল করে সংগঠন চালানো সম্ভব নয়! আবার সুরেন্দ্রনাথ কে বাদ দিয়ে কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তোলাও সম্ভব নয়। কারণ রাজনৈতিকতত্ত্ব অনুসারে ‘ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’ প্রথম রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি লাভ করলেও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ছিল প্রকৃতপক্ষে প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন। তাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কে কংগ্রেস ক্ষমতায় না রাখলেও তাঁর সাহায্য নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি। কারণ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাই ছিল না। কংগ্রেস নেতৃত্ব সুরেন্দ্রনাথ এর কাছ থেকে ভারত সভার তত্ত্বগত এবং কাঠামোগত সব রকমের তথ্য এবং তত্ত্ব গ্রহণ করলেন। কারণ এছাড়া রাজনৈতিক দল সফল ও শক্তিশালী হতে পারে না। এমনকি তারা ভারত সভার সমস্ত কর্মসূচি ও প্রস্তাবগুলিকেই প্রস্তাব আকারে পেশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করলেন।  সুরেন্দ্রনাথ সশরীরে কংগ্রেসে না থাকলেও তার অস্তিত্বকে কংগ্রেস অস্বীকার করতেই পারলো না।

সুরেন্দ্রনাথ একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বাস্তবাদী জননেতা ছিলেন। নিছক কোনও ইগো বা ব্যক্তিস্বার্থ তাঁর কাছে কখনো গুরুত্ব পায়নি। তার কাছে সবার উপরে ছিল জাতীয় স্বার্থ এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তা, তাই তিনি মনে করলেন কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হবে। আর সেই মানসিকতা থেকেই  সদলবলে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এবং অচিরেই ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা রূপে পরিগণিত হলেন। তাঁকে বলা হলো রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

অতীত ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই ভারত সভার বর্তমান কর্তৃপক্ষ ২৬ জুলাই ২০২৫, কলেজ স্ট্রীট কফি হাউস থেকে ভারত সভা হল পর্যন্ত এক অভিনব শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক অনিলকুমার রায় এবং সাধারণ সম্পাদক মানিকচন্দ্র দোলই জানালেন,” সকাল দশটায় কলেজ স্ট্রীট কফি হাউস থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে ১৫০ বছর উৎসবের সূচনা হবে। তবে এই উৎসব চলবে এক বছর ধরে।” শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সংগঠনগুলি যখন লুপ্ত হতে চলেছে সেই সময় ভারত সভার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে  প্রশংসনীয়।

Advertisement