• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানে বিদ্রোহী আধাসেনার গণহত্যার কবলে নারী, শিশু-সহ ৩০০ সাধারণ মানুষ

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। প্রতিপক্ষ জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহান এবং জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালো। প্রথমজন সুদানের সেনাপ্রধান।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

একে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সুদান। তার উপর শুরু হল গণহত্যা। নারী, শিশু-সহ ৩০০ জনকে খুন করেছেন আধাসেনা বাহিনী। প্রসঙ্গত, রাজধানী খারতুম কয়েকমাস আগেই হাতছাড়া হয়েছে। গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সরকার গঠিত হওয়ার পর কোণঠাসা হয়ে পড়ে সেখানকার আরএসএফ বা ‘র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’। ফলে মরিয়া প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করে তারা। নির্বিচারে উত্তর করদোফান প্রদেশে হামলা চালিয়ে নারী, শিশু-সহ ৩০০-র বেশি অসামরিক নাগরিককে খুন করল আধাসেনা।

গত মে মাসের গোড়ায় জেনারেল বুরহান সুদানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক আল-তায়েব ইদ্রিস আবদেল হাফিজের নাম ঘোষণা করেন। আরএসএফের হাত থেকে রাজধানী খারতুন দখলের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সুদান সেনা এর পরে গত কয়েক মাসে আরও কিছু এলাকা থেকে জেনারেল ডাগালোর বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে মরিয়া হয়ে আরএসএফ বাহিনী সোমবার রাতে বারা শহর এবং আশপাশের গ্রামগুলিতে গণহত্যা চালায়। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, হামলার পরে ওই এলাকায় কয়েক হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। প্রতিপক্ষ জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহান এবং জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালো। প্রথমজন সুদানের সেনাপ্রধান। দ্বিতীয়জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। দুই জেনারেলের লড়াইয়ে গত তিন বছরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন এক কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

Advertisement

Advertisement