ইংল্যান্ডে সফররত ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি একদিনের সিরিজ খেলছে। ভারত এই সিরিজ নিজেদের দখলে রাখল ৩-২ ফলাফলে। ভারতীয় দলে বাংলার যুধাজিৎ গুহ খেলছেন। এই দলেই রয়েছে বিস্ময় কিশোর ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। তবে মঙ্গলবার পঞ্চম বা শেষ একদিনের ম্যাচে বৈভব সেইভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেনি। গত ম্যাচে ভারতীয় দলকে জেতার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বৈভব। তখন বৈভব বলেছিল, দাদা শুভমন গিলের মতো আমি ৫০ ওভারের খেলায় দ্বিশতরান করতে চাই। কিন্তু তা হল না। তবে বাংলার ঘরের ছেলে যুধাজিৎ গুহ দারুণ বল করে ভারতীয় দলকে সহজ জয় এনে দেয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারতীয় সিনিয়র দলে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মহম্মদ শামি এবং বিহার থেকে খেলতে আসা আকাশদীপ দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। এই দুই খেলোয়াড় বাংলার হয়ে খেলেন এবং ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁদের পরিচয়ের পাশে যুধাজিতের জায়গাটা একেবারে আলাদা। একেবারে ঘরের ছেলে বলতেই চেতলার যুধাজিৎ গুহ নজর কেড়ে নিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর বয়স ১৮। ভারত খেলতে নেমে ২০০ রান পার করেছিল। একটা সময় ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে। তারপরে যুধাজিৎ ও অম্বরীশের জুটি ভারতীয় দলকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। ৩৪ বলে যুধাজিৎ মাত্র ১০ রান করেছেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে উইকেটটা আঁকড়ে ধরে থাকাটাও একটা লড়াই। তারপরে বোলিং করতে নেমে ৭ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন যুধাজিৎ।
Advertisement
যদিও একটি উইকেটও তাঁর দখলে আসেনি। ভারতীয় যুব দল যেভাবে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। আশা করা যায়, শামি ও আকাশদীপের পরে বড় সাফল্য এনে দিতে পারে বাংলার যুধাজিৎ। ৫ ম্য়াচের ওয়ান ডে সিরিজে খেলেছেন চারটেতে। উইকেট হয়তো খুব বেশি পাননি। কিন্তু নতুন বলে যেমন বোলিং শুরু করেছেন, পুরনো বলে আবার ডেথে বোলিং করেছেন। এই সফর যুধাজিতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ থেকে পরবর্তী পর্বে পা রাখার জন্য এমন যুব সফর পরিণত করে তুলবে তাঁকে। ইংল্যান্ডের পরিবেশ, পিচ আরও খানিকটা এগিয়ে দেবে যুধাজিৎকে। বিলেতে সিরিজ জয় ভারতের ছোটদের, ব্যাটে-বলে লড়াই করলেন বাংলার উঠতি পেস বোলার যুধাজিৎ।
Advertisement
এদিকে বৈভব শেষ একদিনের ম্যাচে ৩৩ রানে আউট হয়ে যায়। তার ইচ্ছা পূর্ণ হল না। তবে সে বলেছে, দাদা শুভমনের কাছ থেকে আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। একেবারে গ্যালারিতে বসে দাদা শুভমনের খেলা দেখছি আর অবাক হয়ে যাচ্ছি। কীভাবে খেলার উপরে মনোনিবেশ করতে হয়, তা বুঝতে পেরেছি দাদার খেলা দেখে। বলতে দ্বিধা নেই, গোটা সিরিজে বৈভব বেশ ভালোই খেলেছেন। পাঁচ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫৫ রান। মেরেছে ২৯টি ছক্কা ও ৩০টি চার। এই সিরিজে অন্য কোনও ক্রিকেটার ৩০০-র বেশি রান করতে পারেননি। যে চারজন ব্যাটসম্যান শতরান করেছেন, তাদের মধ্যে বৈভব রয়েছে। সেই ১৪৩ রান করেছে। শতরান করেছে ৫২ বলে।
Advertisement



