লকডাউনে মদ বিক্রি করা যাবে কি যাবে না তা নিয়ে গোড়া থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। বিশেষ করে কেরল, পাঞ্জাবের মতো কিছু রাজ্য হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করে দেওয়ায় অন্য রাজ্য থেকেও দাবি উঠেছিল।
কিন্তু বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হল, লকডাউন চলাকালীন মদ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। যেহেতু বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কেন্দ্র এই নির্দেশ জারি করেছে, তাই তা সব রাজ্যকেই বলবৎ করতে হবে।
Advertisement
কয়েক দিন আগেই দেখা গিয়েছিল, লড়াউনে অসমে মদ বিক্রিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি সরকার সেই ছাড় দিতেই মদের দোকানের বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। শহর এলাকায় সোশাল ডিস্টেন্সিং বজায় থাকলেও শহরতলি বা জেলায় কেউই তার তোয়াক্কা করেনি। ফলে এ ব্যাপারে আর কোনও বিভ্রান্তি বা যদি-কিন্তুর অবসর না রেখে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল কেন্দ্র।
Advertisement
পর্যবেক্ষকদের অনেকে অবশ্য মনে করছেন, এই ঘোষণার ফলে দোকান থেকে মদ বিক্রি হবে না ঠিকই। কিন্তু লুকিয়ে, চোরাপথে মদ বিক্রির আশঙ্কা বেড়ে গেল। তা ছড়া অনেকের এও মত হল, সরকার নিয়ন্ত্রিতভাবে মদ বিক্রিতে ছাড় দিতে পারত। কারণ, প্রায় সব রাজ্য সরকারেরই রাজস্ব আদায়ের একটা বড় অংশ আসে মদ বিক্রি থেকে। লকডাউন’র ফলে এমনিতে রাজ্যগুলির রাজস্ব সংকট তৈরি হয়েছে। মদ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ থাকলে আরও ক্ষতি হবে।
তবে নর্থ ব্লকের কর্তাদের বক্তব্য, লকডাউনের উদ্দেশ্য হল সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করা। যথা সম্ভব সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়া। তাতে খুব বেশি ছাড় দিলে লকডাউনের উদ্দেশ্যই সিদ্ধ হবে না। এমনিতেই যা আর্থিক ক্ষতি হওয়ার তা হয়েছে। আরও উনিশ দিন মদ বিক্রি বন্ধ থাকলে বাড়তি সংকট হবে না।
Advertisement



