• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

২৩০ কোটি বেতন দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির মধ্যপ্রদেশে

যে ৫০ হাজার কর্মী বেতন পাননি তাঁদের মধ্যে ৪০ হাজার স্থায়ী ও ১০ হাজার অস্থায়ী কর্মী। গত ৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়নি।

প্রতীকী চিত্র

বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ২৩০ কোটি টাকার বেতন দুর্নীতির খবরে শোরগোল উঠেছে । অভিযোগ, ৫০ হাজার ভূতুড়ে সরকারি কর্মীর তালিকা তৈরি করে তুলে নেওয়া হচ্ছিল এই টাকা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকারের ৯ শতাংশ কর্মীর বেতন না পাওয়ার ঘটনায় হইচই শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। যদি এই ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে এই রাজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বেতন দুর্নীতির ঘটনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে ভূতুড়ে কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে, সরকারি খাতায় তাঁদের নাম রয়েছে। এমনকী তাঁদের নামের সঙ্গে রয়েছে সরকারি কোডও। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় গত ডিসেম্বর মাস থেকে কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে ওই সরকারি কর্মীরা কি বেতনবিহীন ছুটিতে আছেন? অথবা ওই সব কর্মীদের কি সাসপেন্ড করা হয়েছে? অতএব মনে করা হচ্ছে ওই সব সরকারি কর্মী যাঁদের নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে তাঁরা কি সবাই আসলে ভূতুড়ে কর্মী? বাস্তবে যাঁদের কোনও অস্তিত্বই নেই।

রিপোর্টে প্রকাশ গত ২৩ মে ট্রেজারি ও অ্যাকাউন্টস কমিশনার সমস্ত ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে এই ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আইএফএমআইএস সিস্টেমের অধীনে ৫০ হাজার কর্মীর বেতন প্রক্রিয়া করা হয়নি। তাঁদের কর্মী কোড রয়েছে ঠিকই কিন্তু ভেরিফিকেশন রয়েছে অসম্পূর্ণ। তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন কি না সে বিষয়ও কোনও তথ্য নেই। ওই চিঠিতে ৬ হাজার ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসারকে তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, তা না পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। সংবাদে প্রকাশ, ট্রেজারি ও অ্যাকাউন্টস কমিশনার ভাস্কর লক্ষকর এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা কোনও বেতন না পাওয়ার ঘটনা নয়। এক্ষেত্রে বড় কোনও দুর্নীতি ঘটেছে বলে মনে হয়। কোনও রকম দুর্নীতি ঘটলে সরকার তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।’ জানা গিয়েছে, যে ৫০ হাজার কর্মী বেতন পাননি তাঁদের মধ্যে ৪০ হাজার স্থায়ী ও ১০ হাজার অস্থায়ী কর্মী। গত ৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখানে বড়সড় কোনও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement