২৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল সাফাই অভিযান। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে অভিযোগের সংখ্যা কিছুটা কমলেও, কাজের গতি একটুও কমেনি পুরসভার। বরং আরও সুসংগঠিতভাবে চলেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। প্রথম তিন দিনের তুলনায় শনিবার একধাক্কায় অর্ধেকে নেমেছে অভিযোগের সংখ্যা। দ্রুততার সঙ্গে সেই অভিযোগগুলির নিষ্পত্তিতেও সক্রিয়ভাবে নামেন পুরসভার কর্মীরা। তবে পুরো অভিযানের লক্ষ্য শুধুমাত্র কয়েকদিনের জন্য রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখা নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী এক সুপরিকল্পিত ভাবনা।
পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কথায়, প্রতিটি অভিযোগের নিষ্পত্তির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য নিজেদের ভাণ্ডারে সংরক্ষণ করছে পুরসভা। সেই তথ্য থেকে আগামী দিনে প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করা যায়, তা নির্ধারণের রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে বোঝা যাবে, কোন জায়গায় আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। ওয়ার্ডভিত্তিক ও বরোভিত্তিক পরিসংখ্যান রাখা হচ্ছে নিয়মিত। গোটা অভিযান শেষে তৈরি হবে একটি বিশদ পরিসংখ্যানমূলক রিপোর্ট, যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে এলাকাভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতের কর্মসূচিতেও এই রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে পুরসভা।
Advertisement
এদিন জঞ্জাল সাফাই বিভাগের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবাজী চ্যাটার্জি বলেন, ‘এর আগে বেঙ্গালুরুতে এমন অভিযান হয়েছে, কিন্তু কলকাতায় এই প্রথম। এই অভিযান থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুফল মিলবে।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে প্রথম দিন জমা পড়ে ৯২টি অভিযোগ, দ্বিতীয় দিনে ১২৯টি, তৃতীয় দিনে ১০৮টি এবং চতুর্থ দিনে ৫০টি। অর্থাৎ চারদিনে মোট ৩৭৯টি অভিযোগ জমা পড়ে পুরসভায়। যার মধ্যে প্রায় ২০০টি অভিযোগ ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি করেছে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীরা।
পুরসভা সূত্রে খবর, বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও, কাজ চলছে পুরোদমে। একাধিক ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া রয়েছে বলেই অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কিছুটা সময় লাগছে। প্রতিটি অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তারপরই তা খাতায় কলমে চূড়ান্ত হিসেবে ধরা হচ্ছে।
Advertisement



