পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলি ফের ভারত বিরোধী প্রচার শুরু করেছে। দেশের মাটিতে একের পর এক জনসভা করে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রচার চালাচ্ছে তারা। সোশাল মিডিয়াতেও জোরকদমে প্রচার চালানো হচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এক্স, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ, চ্যানেল ও ব্লগস্পটে জেহাদি আদর্শের প্রচার চালানো হচ্ছে। লস্কর-জইশের ছায়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলি দেশগুলির কাছে জেহাদের কাজে অর্থ সাহায্য চাইছে বলে খবর। আগামী আগস্টে বাহাওয়ালপুরে আয়োজিত ধর্মসভায় দলে দলে যোগ দেওয়ার প্রচারে হোর্ডিং লাগিয়েছে জইশ।
এরই মধ্যে পাকিস্তানে প্রকাশ্য সভা করেছেন পহেলগাম হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর কমান্ডার সাইফুল্লাহ কাসুরি। বুধবারের ওই সভায় কাসুরির সঙ্গে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং চিহ্নিত জঙ্গিদের। পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি মিছিল ও জনসভার আয়োজন করে। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার বর্ষপূর্তি হিসেবে এই আয়োজন। এই সভা থেকেই প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী মন্তব্য করেছেন একাধিক বক্তা। সূত্রের দাবি, কাসুরি সভা থেকে বলেছেন, ‘পহেলগামের জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আমি এখন গোটা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে গেলাম।’
Advertisement
বক্তব্য রাখার সময় ‘মুদাসির শহিদ’-এর নামে রাস্তা ও হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা করেছেন সাইফউল্লাহ কাসুরি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুদাসির শহিদ আসলে মুদাসির আহমেদ। লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ স্তরের এই নেতা অপারেশন সিঁদুরে মারা গিয়েছেন। লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ছেলে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত তালহা সইদকেও ওই সভায় ভারত-বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের লোকসভা নির্বাচনে লাহোরের একটি আসনে লড়েও হেরে গিয়েছিলেন তালহা। স্বভাবতই একের পর এক জঙ্গিনেতার হুঙ্কার দেখে প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক স্তরে লস্কর-ই-তৈবা নিষিদ্ধ সংগঠন। পাকিস্তানের মধ্যেও কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ, তা সত্ত্বেও কীভাবে খোলাখুলি কাজকর্ম চালিয়ে যায় তারা?
Advertisement
Advertisement



