আচমকা তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ডায়মন্ড হারবার থানার পেছনে ঘটে আচমকা বিস্ফোরণ। আদতে, পুলিশ সেখানে কিছু বারুদ বাজেয়াপ্ত করে রেখেছিল বলেই খবর। সম্ভবত বজ্রপাত থেকেই ঘটেছিল অগ্নিসংযোগ। তবে হতাহতের কোনো খবর নেই এবং বড়সড় বিপদও এড়ানো গিয়েছে। দমকল এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মনে করা হচ্ছে, বৃষ্টির কারণে এবং দমকলের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিরোধীরা শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই ‘অবৈধ বিস্ফোরক’ মজুত করা হচ্ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখার দাবি তোলে। এখানেই শেষ নয়, থানাতেই ঘটেছে অগ্নিসংযোগ! এমনও ভুয়ো অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। এই জলঘোলার মাঝেই ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের স্পষ্ট ব্যাখ্যা, সংশ্লিষ্ট ঘটনা কেবলই ‘দুর্ঘটনা’। এক্স হ্যান্ডলে ট্যুইট করে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ‘এই ঘটনাকে ঘিরে থানায় অগ্নিসংযোগের কথা বলে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য সমাজমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে ডায়মন্ড হারবার থানায় এর বিন্দুমাত্র কোনো আঁচ লাগেনি এবং থানার কোনো কর্মচারীর কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
Advertisement
উল্লেখ্য, বুধবার রাতেই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ জানিয়েছিল, ‘ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে দূরে একটি পুকুর পাড়ে আটক করা কিছু বাজি জমা করে রাখা হয়েছিল। সেখানে সম্ভবত বজ্রপাত থেকে অগ্নিসংযোগ ঘটে। তৎক্ষণাৎ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ ২০ থেকে ২৫ কিলোগ্রাম বাজেয়াপ্ত করা বিস্ফোরক পদার্থ থানার পিছনে রাখা হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি অমরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করে এনে পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছিল। বম্ব স্কোয়াড ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় জলের পাশে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ ঘটে। টানা বৃষ্টিও হচ্ছিল। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কারও আঘাত লাগেনি এবং থানারও ক্ষতি হয়নি। আশপাশে আরও মশলা রাখা ছিল। আমরা দমকলকে খবর দিতেই তারা এসে আগুন নিভিয়ে দিয়েছে।’
Advertisement
Advertisement



