• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির সাফল্যের পক্ষে আদালতে সওয়াল করল হোয়াইট হাউস

উদাহরণ হিসেবে ব্যবসার প্রস্তাব দিয়ে ভারত-পাক সংঘাত থামানোর উল্লেখ

ফাইল চিত্র

ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতি রদ করে দিয়েছে আমেরিকার আদালত। সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা সওয়াল করে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁর সরকারের নয়া শুল্ক নীতিতে কী কী সাফল্য মিলেছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভারত-পাক যুদ্ধ থামাতে তাঁর ব্যবসায়িক প্রস্তাব কতটা কার্যকরী হয়েছে আদালতে তা তুলে ধরেন। আদালতে পারস্পরিক শুল্কনীতি রদ হওয়া আটকাতে ট্রাম্প প্রশাসন ঢাল করেছিল ১৯৭৭ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’কেও। ট্রাম্পের এই পারস্পরিক শুল্কনীতি বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে আমেরিকার একটি আদালতে এমনটাই জানাল হোয়াইট হাউস।

নিউ ইয়র্কের ওই আদালতে আমেরিকার বিদেশ সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকও ট্রাম্পের শুল্কনীতি বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে ভারত-পাক সংঘাতের প্রসঙ্গও তোলেন। আদালত অবশ্য শুল্কনীতি রদ করে জানায়, আমেরিকার আইন কোনও প্রেসিডেন্টকে অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেয় না। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ট্রাম্প প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আপিল করতে চলেছে।

Advertisement

বুধবারই আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক একটি আদালত জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প তাঁর আইনি বাধ্যবাধকতার বাইরে বেরিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু আদালতে এই আইনের পক্ষে সওয়াল করেন আমেরিকার বাণিজ্যসচিব। তিনি দাবি করেন, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি রক্ষা করতেই ওই আইনবলে বিদেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। আদালতে তিনি বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তান– দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। গত ১০ মে একটি সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার পরে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে দু’পক্ষকেই বাণিজ্য করার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই সংঘর্ষবিরতি থামে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত এর আগে ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনিই ব্যবসায়িক প্রস্তাব দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছিলেন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, তাঁরই মধ্যস্থতায় ‘বাণিজ্যের মাধ্যমে’ ভারত-পাক বিরোধের অবসান ঘটেছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, এটা বন্ধ করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করতে পারি। আপনারা এটা বন্ধ করলে আমরা বাণিজ্য করতে পারি। কিন্তু যদি আপনারা এটা বন্ধ না-করেন, আমরা (আপনাদের সঙ্গে) কোনও বাণিজ্য করব না।’

যদিও কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনও পক্ষের হাত নেই। তবে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছু বলেনি নয়াদিল্লি। তেমনই ট্রাম্পের দাবিও খারিজ করেননি সরকার বা প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কেউ।

Advertisement