চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় যে আর্সেনালকে দেখা গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে, সেমিফাইনালে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিরুদ্ধে সেই লড়াই দেখতে পাওয়া গেল না। ঘরের মাঠে এমিরেটস স্টেডিয়ামে পিএসজি-র কাছে ১-০ গোলে হারতে হলো গানার্সদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির প্রথম লেগে প্রায় সব বিভাগেই আর্সেনালকে টেক্কা দিতে দেখা গেল লুইস এনরিকের পিএসজিকে। ‘শিষ্য’ আর্তেতার বিরুদ্ধে প্রথম লেগে বাজিমাত ‘গুরু’ এনরিকের। গোলটি করেছেন ফরাসি রাইট-উইঙ্গার উসমান ডেম্বেল। পরবর্তী সময়ে আর্সেনালকে খেলতে হয়েছে গোলরক্ষক ডোনারুম্মার বিরুদ্ধে। গোলরক্ষকের অনবদ্য ভূমিকায় আর্সেনাল গোলের মুখ দেখতেই পায়নি।
খেলার চার মিনিটের মাথায় ধাক্কা খায় মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। বাঁদিক থেকে দ্রুত বেগে বক্সে ঢোকেন পিএসজি-র লেফট-উইঙ্গার কিভিচা কাভরাটসখেলিয়া, সম্ভবত সেই ভরসাতেই কাভরাটসখেলিয়ার দিকে এগিয়ে এসেছিলেন আর্সেনালের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস। তবে খানিকটা বক্সে ঢুকেই সেখান থেকে কাভরাটসখেলিয়া বল বাড়ান ডেম্বেলেকে। আর্সেনালের বক্সে তখন ডিফেন্ডার এবং মিডফিল্ডারদের ভিড়। কিন্তু সবাইকে বোকা বানিয়ে, বক্সে না ঢুকে বরং বক্সের বাইরে থেকেই জোড়ালো শট নেন ডেম্বেলে, এবং এতেই পরাস্ত হয় আর্সেনালের গোলকিপার ডেভিড রায়া। প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে আর্সেনালের গোটা প্রথমার্ধ লেগে যায়। এর মধ্যে পিএসজি-র একটি পেনাল্টির আবেদন খারিজ করেন রেফারি। কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে যেভাবে ওডেগার্ড-রাইসরা দাপট দেখিয়েছিলেন সেটা ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতে। এরপরেই রাইসের ফ্রি কিক থেকে মিকেল মেরিনো গোল করলেও সেটি অফসাইডের জন্য বাতিল হয়।
Advertisement
এরপর যা হয় সেটাকে এভাবে বলা চলে ডোনারুম্মা বনাম আর্সেনালের খেলা। ত্রোসার্দ, মার্টিনেলিরা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকলেও গোলপোস্টের তলায় দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন ডোনারুম্মা। অন্তত চারটি নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। ম্যাচের মোড় ফের পালটি খায় ৭৫ মিনিটের পর। পিএসজির বদলি খেলোয়াড় বারকোলা, গঞ্জালো র্যামোসরা একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও চরম ব্যর্থ হন। নইলে অনায়াসেই হয়তো পিএসজি তিন বা চার গোলে এগিয়ে যেত।
দ্বিতীয় লেগের খেলা পিএসজিকে খেলতে হবে ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সে আগামী ৭ মে। প্রথম লেগে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে রইল পিএসজি।
Advertisement
Advertisement



