শ্বশুরবাড়ির লোকজন মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। প্রতিবাদ করতেই কপালে জুটত বেধড়ক মার। এবার শারীরিক নির্যাতন সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে বাড়ির বউকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে কারিমার সঙ্গে জীবনতলা থানার আঠারোবাঁকি পঞ্চায়েতের দাহারানি গ্রামের সাইফুল সর্দারের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই কারিমা লক্ষ্য করেন, প্রায়ই বহিরাগতরা বাড়িতে এসে কিছু একটা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহ হয় তাঁর। ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি বুঝতে পারেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গাঁজা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। প্রতিবাদ করতেই তাঁর কপালে জোটে অকথ্য অত্যাচার। বারণ করা সত্ত্বেও ব্যবসা বন্ধ করা হয়নি। বু
ধবার ফের বাড়িতে বাইরে থেকে লোক এসেছিল। কেনা-বেচার সময় প্রতিবাদ করেছিল কারিমা। প্রতিবারের মতো স্বামী, শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ি মিলে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, এবার লাঠি দিয়ে মারার পাশাপাশি ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে কারিমাকে। শরীরের একাধিক স্থানে শক দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল কারিমা। সেই অবস্থায় স্বামী সাইফুল গলা টিপে মেরে তাঁকে ফেলতে চেয়েছিলেন। বাপেরবাড়ি থেকে কারিমাকে উদ্ধার করতে এলে তাঁদের উপরও চড়াও হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কোনোরকম তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কারিমার পরিবার।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



