• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে দার্জিলিংয়ে বদলি

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে দার্জিলিংয়ে বদলি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্ধমানে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পদে কর্মরত ছিলেন সুবর্ণ।

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে দার্জিলিংয়ে বদলি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্ধমানে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পদে কর্মরত ছিলেন সুবর্ণ। তাঁকে দার্জিলিং টিবি হাসপাতালের সুপার পদে পাঠানো হয়েছে। সুবর্ণর বক্তব্য, এমন একটা জায়গায়, এমন একটা কাজের জন্য পাঠানো হচ্ছে, যেখানে করার মতো কিছু নেই। এটা পদের অবনতি ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গত, আরজি কর আন্দোলনের একেবারে প্রথম সারিতে ছিলেন সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর দাবি, আরজি কর আন্দোলনে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। এতদিন বিভিন্ন থানা থেকে ডেকে পাঠানো হচ্ছিল, এবার তো সোজা বদলিই করা হল।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনী সুবর্ণ নিজের ২১ বছরের চাকরি জীবনে এই নিয়ে ১৪ বার বদলি হলেন। সুবর্ণ গোস্বামী জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্বাস্থ্য দপ্তরের বদলির নোটিস তিনি হাতে পেয়েছেন। তবে তিনি আদৌ দার্জিলিংয়ে যাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তাঁর কথায়, কাজে যোগ দেব নাকি মেডিক্যাল কাউন্সিলকে জানিয়ে পদক্ষেপ করব, সেটা এখনও ঠিক করিনি। বদলি নীতি নিয়েও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সুবর্ণর অভিযোগ, এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছেন, যাঁরা বছরের পর বছর একই হাসপাতালে রয়েছেন। সরকারের অনুগামী বলে তাঁদের বদলি হয় না।

Advertisement

যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সুবর্ণর অভিযোগ মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। এদিকে পূর্ব বর্ধমানে সুবর্ণ গোস্বামী যে দায়িত্বে ছিলেন, সেই দায়িত্ব অস্থায়ী ভাবে ওই জেলারই উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে থাকা ডাঃ সুনেত্রা মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরজি করের ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজ্যের চিকিৎসকরা পথে নেমেছিলেন। অনেকেই বলে থাকেন, সেই সময় আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন সুবর্ণ গোস্বামী। বহুবার শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে সুবর্ণ ‘প্রতীকী’ অনশনও করেছিলেন। তাঁকে এক বার তলবও করেছিল কলকাতা পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে প্রধান সংগঠক হিসাবে হাজির থেকেছিলেন তিনি। আরজি করের নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সুবর্ণ মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

বদলি করে অবশ্য তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বাকে দমানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়, এইসব বদলি দিয়ে কণ্ঠরোধ হবে না। লড়াই জারি থাকবে। সরকারি চিকিৎসক হিসাবে আমার অন্য কোথাও যেতে আপত্তি নেই। যে পূর্ব বর্ধমানে আমি রয়েছি, সেখানে যথেষ্ঠ ভাল কাজ হচ্ছে। তারপরও লোয়ার র‌্যাঙ্ক করে, যে হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে না, সেখানে বদলি করা হয়েছে। বসিয়ে রাখার জন্য এটা করা হয়েছে। আমি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে যা ব্যবস্থা করার করব।

Advertisement