• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

হাতির হানা রুখতে সচেতনতা চান বনমন্ত্রী

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা রেঞ্জের দাঁতন থানা এলাকায় হাতির হানায় রামু মুর্মু নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল।

নিজস্ব গ্রাফিক্স চিত্র

লোকালয়ে হাতির উপদ্রব রুখতে মানুষকে সচেতন হতে বললেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বুধবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন হাতির হানায় মৃত্যুর প্রসঙ্গ ওঠে। লোকালয়ে হাতির হানা বাড়ার জন্য মানুষকেই দায়ী করেছেন মন্ত্রী। মানুষ সচেতন ও সতর্ক না হলে কোনওভাবেই হাতির হানা এড়ানো সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁর।

মন্ত্রী জানান, মানুষ বনের পশুদের বিরক্ত করেন। তাদের খাবার জঙ্গল থেকে বাজারে এনে বিক্রি করে দেন। সেই কারণে তাদের খাবারে টান পড়ছে। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে বন্যপ্রাণীরা। বন্যপ্রাণীদের জঙ্গলে থাকার পরিবেশ নষ্টের জন্যও মানুষকেই দায়ী করেছেন বিরবাহা। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে কোনও পদক্ষেপ বা উদ্যোগই কার্যকর করা সম্ভব হবে না বলে দাবি তাঁর। এই কাজের জন্য বিধায়কদের এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রায়ই খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতির দল। হাতির হানায় বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই মৃত্যুর জন্য বনদপ্তরের গাফিলতিকে দায়ী করেন মানুষ। কিন্তু এ বার এই সকল মৃত্যুর জন্য মানুষকেই দায়ী করলেন বনমন্ত্রী। জঙ্গলে ঢুকে বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করা বন্ধ না করলে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয় বলেই দাবি করেন তিনি।

Advertisement

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা রেঞ্জের দাঁতন থানা এলাকায় হাতির হানায় রামু মুর্মু নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের মাসেই ঝাড়গ্রামে বাদল মুর্মুরও মৃত্যু হয়েছিল একইভাবে। অনেক সময় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জমির ফসল নষ্ট করে হাতির দল। বাড়ির দেওয়াল ভেঙেও খাবারের সন্ধান চালায় তারা। ফলে আতঙ্কিত জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। বনকর্মীরা প্রায়ই এবিষয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন। হাতির হানা রুখতে একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে বনদপ্তর। কিন্তু কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই উপদ্রব। এবার মানুষকে সচেতন হতে বললেন মন্ত্রী বিরবাহা।

Advertisement

Advertisement