লস্কর জঙ্গি আবু কাতাল খুন হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়েছে পাকিস্তানের। আশঙ্কা বাড়ছে, যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারেন মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ। সেজন্য হাফিজের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক পাক প্রশাসন। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন হাফিজ সইদ। কিন্তু সেখানে তাঁর যথাযথ নিরাপত্তা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ইসলামাবাদের তরফে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
তবে শুধু হাফিজকেই নয় পুত্র তালহা সইদের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ তাঁর উপর আগে একবার হামলা চালানোর চেষ্টা হয়েছিল।
Advertisement
প্রসঙ্গত শনিবার গভীর রাতে দেহরক্ষীদের নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থেকেও খুন হয়ে গিয়েছেন হাফিজ-ঘনিষ্ঠ কাতাল। এরপর আর হাফিজের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাকিস্তান। ২০২১ সালে লাহোরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন লস্কর প্রধান হাফিজ। ২০২৩ সালে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ হাজলা আদনান এবং রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাসিম নিহত হয়েছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে। ২০২৪ সালে মারা গিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় লস্কর জঙ্গি আব্দুল রহমান মাক্কি। হামলার আশঙ্কায় তাঁর শেষকৃত্যেও যোগ দিতে পারেননি হাফিজ।
Advertisement
তবে কাতালকে কে বা কারা হত্যা করেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ঝিলম এলাকায় গিয়েছিলেন কাতাল। তাঁর সঙ্গে ছিল লস্করের কয়েক জন জঙ্গি। এ ছাড়াও সাধারণ পোশাকে তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন কয়েকজন পাক সেনাকর্মীও। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে ২০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। পাক পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। সন্দেহ করা হচ্ছে, কাতালের গতিবিধির আগাম খবর ছিল হামলাকারীদের কাছে।
Advertisement



