তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মিনাখাঁর কুলটি এলাকায়। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলা সহ আটজন। জখমদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুর রউফ মোল্লা ও তাঁর ছেলে মিলন মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের হাড়োয়ার যুব সভাপতি খালেক মোল্লা ও ব্লক সভাপতি ফরিদ জমাদারের অনুগামীদের সঙ্গে মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের অনুগামীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর জেরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুর রউফ মোল্লা ব্লক সভাপতি ফরিদ জমাদার ও তৃণমূলের হাড়োয়ার যুব সভাপতি খালেক মোল্লার অনুগামী। আব্দুর রউফ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ কুলটি এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে তিনি চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় বিধায়কের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের একটি দল লোহার রড, লাঠি, হাতুড়ি, নিয়ে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে আব্দুর ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জখম হন ৮ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
Advertisement
অপরদিকে, বিধায়কের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের দাবি, এই সংঘর্ষের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
Advertisement
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে গোষ্ঠী রাজনীতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সতর্ক করেছিলেন নিজের দলের নেতা কর্মীদের। কোনও ব্যক্তি রাজনীতির উপর গুরুত্ব না দিয়ে দলকে বড় করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু তারপরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মিনাখাঁ এলাকা। এলাকার মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে হাড়োয়া ও মিনাখাঁ বিধানসভায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছে বিজেপি।
Advertisement



