বিশিষ্ট কত্থক নৃত্যশিল্পী ও গুরু সন্দীপ মল্লিকের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা নৃত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘সোনারপুর নাদম’। সংস্থাটি প্রদর্পণ করেছে চোদ্দতম বর্ষে। এই উদযাপন শুরু হয়েছিল গত বছর (সাল ২০২৪)। অক্টোবর মাসে হয়েছিল প্রথম অনুষ্ঠান। ইংরেজি বছরের জানুয়ারি মাসে দুটি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘটলো এই উদযাপন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি। প্রথমটি হয় জ্ঞান মঞ্চে; মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠান ও বিশিষ্ট আমন্ত্রিত কত্থক নৃত্য শিল্পীর নৃত্য প্রদর্শন পর্ব। গুরু বন্দনা দিয়ে সূচনা হয়। এরপর নটরাজ কলা কেন্দ্র ও নৃত্যাঞ্জলি ডান্স একাডেমি (সিকিম)-র শিল্পীরা মিলে উপস্থিত করেন ‘দরবার’। পরিচালনা সন্দীপ মল্লিক।
এরপর রাখা হয়েছিল ‘সহাবস্থান’ নৃত্য পরিবেশনা পর্ব যেখানে গুরু সন্দীপ মল্লিকের একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী এবং আমন্ত্রিত চার গুরু যথা মধুমিতা রায়, রমাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় অঞ্জু ভট্টাচার্য এবং পারমিতা মৈত্রের ছাত্র-ছাত্রীরা দ্বৈতভাবে নৃত্য উপস্থাপনা উপহার দেন। নৃত্যে ছিলেন অনুশ্রী পাল ও প্রিয়দর্শিনী সান্যাল, শুভ্রদীপ সাউ ও হিন্দোলি নিয়োগী, সোহিনি পাইন ও সুশান্ত ঘোষ এবং প্রিয়াঙ্কা সাহা ও মন্দিরা পাল। এই সন্ধ্যার সবিশেষ আকর্ষণ ছিল শিঞ্জিনী কুলকার্নির একক কত্থক নৃত্য উপস্থাপনা। নিজের মাতামহীর নামে কিছুটা হলেও নিজে গুনে আজ তিনি কলা ও নৃত্যমহলে স্থান করে নিয়েছেন। যন্ত্র সহযোগিতায় ছিলেন- চন্দ্রচূড় ভট্টাচার্য (সেতার), অনিরুদ্ধ মুখার্জি ও সুবীর ঠাকুর (তবলা), অরিন্দম ভট্টাচার্য (কণ্ঠ)। দ্বিতীয় তথা সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল দুটি পর্ব। তবে শুরু হয় সন্দীপ মল্লিকের ছাত্র-ছাত্রীদের গুরু বন্দনায়। এরপর ছিল পন্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ও পন্ডিত কুমার বোসের সরোদ বাজনার পর্ব।
Advertisement
এই সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ ছিল কত্থক যুগলবন্দী। দ্বৈত উপস্থাপনায় ছিলেন গুরু ও আয়োজক সন্দীপ মল্লিক এবং পন্ডিত দীপক মহারাজ (পন্ডিত বিরজু মহারাজের কনিষ্ঠ পুত্র)। বাংলা গান ‘একতারাতে বেঁধে দিলেম দোতারার সুর’ উপস্থাপনার পর দুই শিল্পীর একক ও কখনো দ্বৈত নৃত্যের উপস্থাপনার পর্ব।
Advertisement
Advertisement



