• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফরাক্কায় প্রধান শিক্ষককে মারধরে অভিযুক্ত বিধায়ক ঘনিষ্ঠকে গ্রেপ্তার

দলেরই সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

প্রতীকী চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। ধৃত অরুণময় দাস স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ এবং ফরাক্কা ব্লকে দলের সভাপতি পদে ছিলেন।সম্প্রতি তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও অরুণবাবু ফরাক্কা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে জেল হাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সহ সম্পাদক তারিফ হোসেনকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সহ সম্পাদক পদ থেকে ইতিমধ্যেই এই শিক্ষককে নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩১ জানুয়ারি এই বিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক রুটিন তৈরিকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়েরই চার শিক্ষকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের গোলমালের সময় উপস্থিত ছিলেন অরুণময়বাবু। অভিযোগ, ওই চার শিক্ষকের সঙ্গে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতিও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে মারধর করেন। সেই মারের জেরে একটি পা ভেঙে যায় প্রধান শিক্ষকের। এই ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুজন স্বর্ণকার। এবার কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করে ফরাক্কায় নিয়ে আসা হয় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অরুণময় দাসকে।

Advertisement

দলেরই সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি মইনুল হক সাফ বলেন, পুলিশ তার নিজের কাজ করেছে। আমাদের দলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, পুলিশ প্রশাসনের কাজ পুলিশ করবে। সেখানে শাসক দলের কোনো নেতার হস্তক্ষেপ করা যাবে না। যত বড়োই নেতা হোক, সে কোনোভাবেই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। এটাই নেত্রী আমাদের বারবার বার্তা এবং নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সি পি এমের ৩৪ বছরের শাসনকালে এটা কোনোদিন দেখা যেত না। ওদের আমলে সি পি এমের নেতারা কেউ গ্রেপ্তার হত না। কিন্তু আমাদের দিদির বার্তা পুলিশ প্রশাসনের তদন্তে কারও কোনোরকম হস্তক্ষেপ করা যাবে না এবং অপরাধী যদি দলের বড়ো নেতাও হন, তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে। সেটাই এক্ষেত্রে হয়েছে।

Advertisement

Advertisement