গত ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ। কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে সকালে খাইয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়েছিলেন শেওড়াফুলির বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের রিমা চক্রবর্তী। তখন সকাল ৮টা। তারপর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পড়াশোনার সূত্রে কলকাতাবাসী মেয়েকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি। চিন্তা নেই খোঁজ রাখব।’ কিন্তু তারপর থেকেই ফোন বন্ধ। আর খোঁজ মেলেনি মহিলার। স্বামী রাজা চক্রবর্তী পেশায় বেসরকারি ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার। তিনি আসামের বাসিন্দা। মায়ের বাড়ি ছাড়ার ফোন পেয়ে মেয়ে অশ্রুকণ্ঠে বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তারপর দুদিন ধরে আত্মীয় পরিজনদের বাড়ি খোঁজাখুঁজির পর গত ১৯ ডিসেম্বর শ্রীরামপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন রিমাদেবীর ছেলে, রজত চক্রবর্তী। নিখোঁজ ডায়েরি করার পর একমাস কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি মহিলার। নিখোঁজ মহিলার স্বামীর অভিযোগ, ‘পুলিশে খবর দিয়েও সুরাহা হয়নি। তাঁরা ভাল ব্যবহার করলেও সেই অর্থে সদর্থক কোনও ফল পাওয়া যায়নি’।
নিখোঁজ মহিলার স্বামী রাজা চক্রবর্তীর কথায়, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার কাছেই ছিল আমার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা। দুর্গাপুজোর সময়টা আসামে একসঙ্গেই কাটিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন ওরা সকলে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল’। শুধু তাই নয়, গত ডিসেম্বরে যখন নিখোঁজ হন স্ত্রী, তার দিন দশেক আগেই বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে আসামে ফিরে যান রাজা চক্রবর্তী। কিন্তু কী কারণে রিমা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন? তা আজও অজানা স্বামী রাজা চক্রবর্তীর কাছে। তাঁর আরও অভিযোগ, থানা থেকে বলা হয় রিমাদেবীর ফোন বন্ধ, তাই হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিখোঁজের স্বামীর বক্তব্য, কোন জায়গায় ফোন বন্ধ করা হয়েছে, সেটাও কী জানা যেত না! সব মিলিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শেওড়াফুলির চক্রবর্তী পরিবার।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



