উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি থেকে হুগলির খানাকুলের দরিদ্র অসুস্থ পরিবারের এখন ঠিকানা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা তো বটেই, পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত মানুষ বিনামূল্যে উচ্চমানের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আশায় ছুটে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মহৎ কর্মযজ্ঞে। রবিবার থেকে ফলতা বিধানসভায় শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী এই স্বাস্থ্যশিবির। ফলতার এই কর্মসূচি তদারকি করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য জাহাঙ্গীর খান, অভিষেকের সহকর্মী সুমিত রায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ভার্তেন্দু শর্মা।
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার মতো ফলতা বিধানসভার শিবিরেও হচ্ছে নজরকাড়া ভিড়। ফলতার সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির পেসমেকারধারীদের জীবন রক্ষাকারী জরুরী পরিষেবা প্রদান করে রেকর্ড গড়ার পথে। সোমবার রাজস্থানের ৫৮ বছর বয়সী তীর্থযাত্রী আশা, গঙ্গাসাগর মেলার যাত্রাপথে ফতেপুর বাফার জোন এলাকায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তৎক্ষণাৎ ফতেপুর পঞ্চায়েত মাঠে চলমান সেবাশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অক্সিজেন সাপোর্ট প্রদান দেন। বর্তমানে পেসমেকারধারী আশা সুস্থ রয়েছেন এবং তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে পবিত্র স্নানের উদ্দেশ্যে যাত্রাও করেছেন। অন্যদিকে, পেসমেকারধারী এক যুবক বারংবার ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হওয়ায় তাঁকে নিকটতম সেবাশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের হস্তক্ষেপে তিনি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে যুবকের মাসি বলেন, ‘পেসমেকার থাকলেও সে প্রায়ই অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে সেবাশ্রয় শিবিরে নিয়ে আসার পর, আপৎকালীন চিকিৎসা পেয়ে এখন সে শ্বাস নিতে পারছে। আমি এই সেবাশ্রয় শিবিরে দেওয়া চিকিৎসায় খুব খুশি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, ফলতার মোট ৪০টি স্বাস্থ্যশিবিরের প্রথম দিনেই ১১ হাজারের অধিক রোগী উপস্থিত হন। প্রথম দু’দিনে ফলতার ক্যাম্পে আগত রোগীদের সংখ্যা পেড়িয়ে যায় ২০ হাজারের অধিক। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, সেবাশ্রয়ে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা তিন লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে আর বেশি সময় লাগবে না। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, প্রত্যেক বিধানসভায় সেবাশ্রয়ের সূচনার দিন তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে। তবে রবিবার স্বামীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে অভিষেক পৌঁছে গিয়েছিলেন সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজি বাসভবনে। সে কারণেই তিনি উপস্থিত হতে পারেননি ফলতায়। নিজে উপস্থিত না থাকতে পারলেও সুমিত রায়, জাহাঙ্গীর খান থেকে ভার্তেন্দু শর্মা অভিষেকের নির্দেশ এবং উপদেশ পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে।
Advertisement
Advertisement



