বছর ঘুরতেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। অথচ একসময়ে যে রাজনৈতিক দল দীর্ঘ ৩৪ বছর একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম রেখেছিল, সেই দলটি এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে সিপিএম। প্রথমত দলে নতুন করে আর সেইভাবে নেতা তৈরি হচ্ছে না, দ্বিতীয়ত নতুন প্রজন্ম এই দলের প্রতি কোনোপ্রকার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি দলের নেতা কর্মীদের পরবর্তী প্রজন্মও দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে দীর্ঘ ১৩ বছর শাসনক্ষমতায় না থাকার ফলে মাশুল গুনতে হচ্ছে সিপিএম-কে।
বর্তমানে দলে থাকা নেতা-কর্মীরা আর আগের মতো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না। ফলে পার্টি ক্লাস, রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও রাস্তায় বাম নেতা কর্মীদের দেখা মিলছে না। রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা জেলা সম্মেলনগুলি থেকে সেই রিপোর্টই প্রকাশ্যে এসেছে।
Advertisement
এদিকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সমস্যাগুলিকে নিয়ে আন্দোলন করার মতো মানসিকতা নেই দলের জেলা ও আঞ্চলিক নেতৃত্বের। শুধুমাত্র রাজ্যের চাপিয়ে দেওয়া আন্দোলন দিয়েই দলের মুখরক্ষা করতে চাইছে। ফলে দলের ধারাবাহিকতা হারাচ্ছে। এমনকি আর জি করের মতো ইস্যুকে হাতে পেয়েও সেটাকে রাজনৈতিকভাবে হাতিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছে সিপিএম।
Advertisement
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে দলের রাজ্য সম্মেলন। সেখানে দলের নিচুতলায় কীভাবে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ানো যাবে, কীভাবে ভোটারদের মনে প্রভাব বিস্তার করা যাবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা।
Advertisement



