ঢাকঢোল পিটিয়ে অমিত শাহকে দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেও লাভ হল না। ডাহা ফেল করল বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া এক কোটি সদস্যের লক্ষ্যমাত্রার ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারল না। সাকুল্যে ৫০ লক্ষের কাছাকাছি গিয়ে ঝিমিয়ে পড়েছে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের গতি। এমনকি রাজ্যে এই মুহূর্তে ৭৯ হাজার বুথ থাকলেও এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা মাত্র ৪৫ হাজার। ফলে রাজ্যের প্রতিটি বুথে বুথ কমিটি গঠন তো দূর অস্ত, সক্রিয় সদস্যও তৈরি করতে পারল না প্রধান বিরোধী দল।
এদিকে দলের প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, পুরনো নেতা কর্মীদের সাইডে বসিয়ে রাখার ফলে দলের এই করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অর্থাৎ প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে সংগঠন করে আসছেন, তাঁদের মাঠে না নামানোর ফলে মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন বর্তমান নেতারা।
Advertisement
অন্যদিকে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে দলের দুটি শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। দলের একটি অংশ দাবি করেছে, দিলীপ ঘোষের সময়ের থেকেও রাজ্যে বিজেপির হাল খুবই খারাপ। দিলীপপন্থীরা দাবি করেছেন, গতবার অর্থাৎ ২০১৮ সালে মিসড কল দিয়ে সবচেয়ে বেশি সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল। সেবার মোট ৮২ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল। যার মধ্যে ৬৮ লক্ষ ছিলেন ভেরিফায়েড সদস্য। যদিও এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্ব। তাঁরা দাবি করেছেন, গতবার মাত্র ১৩ লক্ষ সদস্য ছিল ফেরিফায়েড। সেই জায়গায় এবার ভেরিফায়েড সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষের কাছাকাছি।
Advertisement
Advertisement



