প্রতি বছরের মতো এ বছরও কলকাতায় উদযাপিত হল বিজয় দিবস। রেসকোর্সে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন মমতা। ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে এই ঐতিহাসিক রায় খারিজের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। এই আবহে মমতার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার বড় অবদান ছিল। সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। এরপরই স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। প্রতিবছরই ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনটিকে ভারত ও বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কলকাতায় আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন মমতা।
Advertisement
তবে তাঁর দাবি, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। এদিন মমতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলার ভূমিকা কখনই ভুলতে পারি না। যাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কখনই ভুলতে পারব না। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কী আমি জানি না। আমাকে জানানো হয় না। এই বিষয়ে কিছু বলাটা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। বিষয়টা ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনার হাতে।’
Advertisement
কলকাতায় আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত আসেন না। কিন্তু চলতি বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকদিন ধরেই পড়শি দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। ইসকনের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারি নিয়েও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত। এই আবহে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মমতার যোগদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে ১৯৬৫ সালে চিন ও ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেন মমতা।
Advertisement



