১১ নভেম্বর থেকে সাময়িকভাবে কিছুদিনের জন্য আইএসএলের খেলা বন্ধ থাকবে। তার আগেই ১০ নভেম্বর মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস খেলতে নামবে ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে। মোহনবাগান শিবির এখন বেশ চনমনে। গত ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি’কে হারিয়ে ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। প্রথম ম্যাচটি মুম্বইয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পরেই মোহনবাগান ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবং শুধু তাই-ই নয়, এই মুহূর্তে লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে মোহনবাগান। যদি ওড়িশা এফসি’কে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে বর্তমানে শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরু এফসিকে টপকে যাবে। সেই কারণেই এই ম্যাচটাকে অন্যভাবে দেখতে চাইছেন মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ওড়িশা এফসি গত ম্যাচে হেরি যায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। তাই ওড়িশা এফসি কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে, তা বলা যেতেই পারে। মোহনবাগান এই মুহূর্তে যে দাপটের সঙ্গে খেলছে, তাতে প্রতিপক্ষ দল চিন্তার মধ্যে থাকবে, তা বলাই যেতেপারে। সবুজ-মেরুন শিবিরের ফুটবলাররা অনেক বেশি সচেতন। তাঁদের লক্ষ্য গতবারের মতো লিগ-শিল্ড জয়ের। তবে গতবার খেতাব জয় তাঁদের হয়নি। এবারে পাখির চোখ করে খেলতে চাইছে মোহনবাগান।
ইতিমধ্যেই বিদেশি ফুটবলার নুনো রুইডকে সই করিয়েছে মোহনবাগান। রুইডকে প্রয়োজন ছিল এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ-২’তে খেলানোর জন্য। কিন্তু ইরানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারণে মোহনবাগান খেলতে যায়নি। ফিফার কাছে আবেদন করলেও, সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করা হয় মোহনবাগানকে। তবে, বাতিল করলেও আর্থিক জরিমানা করা হয়নি মোহাবাগানকে। নুনো রুইড এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগান ক্লাবে থাকতে চাইছেন না। তার প্রধান কারণ হল, মাঠের বাইরে বসে থেকে থেকে অলস হয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি তিনি বসে বসে মাইনে নিতেও পছন্দ করেন না। তাই মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে ভাবা হচ্ছে, যদি এই বিদেশি ফুটবলারকে অন্য কোনও ক্লাবে লোনে পাঠানো যায় কিনা। কিন্তু কোচ মোলিনা চাইছেন, মোহনবাগানেই থাকুক এই বিদেশি ফুটবলার। যদি কোনও বিদেশি ফুটবলার চোট পান, সেক্ষেত্রে নুনো রুইডকে তার পরিবর্তে খেলানো যেতে পারে।
Advertisement
ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কোচে হোসে মোলিনা অনেকটাই চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছেন গ্রেগ স্টেওয়ার্টের চোট নিয়ে। তবে বলা হচ্ছে গ্রেগের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। হালকা অনুশীলনে নামলেও ডাক্তারের পরীক্ষায় কী রিপোর্ট পাওয়া যায়, সেটাই ভাবার বিষয়। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিয়ে গ্রেগকে খেলানোর পক্ষপাতী নন কোচ। তবে তিনি আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি ফিট হয়ে যাবেন। কোচ মোলিনার হাতে একাধিক অপশন রয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। এদিকে পারিবারিক সমস্যায় আশিস রাই অনুশীলনে না থাকলেও তিনি ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। এই মুহূর্তে মোহনবাগান দল ৬টি ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তাই রবিবার মোহনবাগানের কাছে ওড়িশা ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।
Advertisement
Advertisement



