আগাম সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের প্রধান বিচারপতি সহ অযােধ্যা মামালার পাঁচ বিচারপতির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হল। ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বেশি চর্চিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক জটিলতা রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তারপরই ওই পাঁচ বিচারপতির নিরাপত্তা আরও জোরদার করে দেওয়া হয়েছে- অতিরিক্ত বাহিনী মােতায়েন, ব্যারিকেড, মােবাইল এসকর্ট টিমের নিয়ােগ করা হয়েছে।
দেশের প্রধান কিারপতি রঞ্জন গগৈ, ভাবী প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ে, বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশােক ভূষণ ও বিচারপতি এস আব্দুল নজির গতকাল অযােধ্যা মামলায় রায় ঘােষণা করেছেন।
Advertisement
সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, আগাম সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের পাঁচ বিচারপতির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে কোনও ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। কিন্তু আগাম সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সম্মানীয় বিচারপতিদের বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মােতায়েন করা হয়েছে। তাদের বাড়ির রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মােবাইল সিকিউরিটি ও সশস্ত্র এসকর্ট টিম নিয়ােগ করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, মসজিদ নির্মাণের জন্য ঘােষিত পাঁচ একর জমি সরকারের থেকে গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে ভিন্ন মতামত পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি। তিনি বলেন, ‘২৬ নভেম্বর বাের্ডের সাধারণ বৈঠকে ওই জমি গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে’।
সুপ্রিম কোর্ট অযােধ্যা মামলায় রায় দিয়ে বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ করতে বলে। পাশাপাশি মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়।
উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বাের্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণের জন্য ঘােষিত পাঁচ একর জমি সরকারের থেকে গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে ভিন্ন মতামত পাচ্ছেন। ২৬ নভেম্বর বাের্ডের সাধারণ বৈঠকে ওই জমি গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহ্ন করা হবে। অনেকে বলছে বাবরি মসজিদের জন্য ওই জমি নেওয়া উচিত নয়, কিন্তু আমি মনে করি এতে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পাবে’।
তিনি বলেন, ‘জমি নেওয়া উচিত হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি বাের্ড সিদ্ধান্ত নেয় জমি নেওয়া হবে তাহলে আমরা ঠিক করব কিভাবে জমি নেওয়া হবে ও তার শর্ত কি হবে’।
Advertisement



