• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাকিস্তানের নারওয়ালে ৬৪ বছর পর পুনর্গঠিত হচ্ছে হিন্দু মন্দির 

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি হিন্দু মন্দির ৬৪ বছর পর পুনর্নির্মাণ করতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। মন্দির নির্মাণের জন্য জন্য পাকিস্তানি রুপি ১০ মিলিয়নের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড সূত্রে খবর, ১৯৬০ সালে শেষ বার ওই মন্দিরে উপাসনা হয়েছিল। তার পর থেকে এত দিন পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়ে থেকেছে মন্দিরটি। সরকারের তরফে সেই মন্দিরটিকে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি হিন্দু মন্দির ৬৪ বছর পর পুনর্নির্মাণ করতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। মন্দির নির্মাণের জন্য জন্য পাকিস্তানি রুপি ১০ মিলিয়নের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড সূত্রে খবর, ১৯৬০ সালে শেষ বার ওই মন্দিরে উপাসনা হয়েছিল। তার পর থেকে এত দিন পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়ে থেকেছে মন্দিরটি। সরকারের তরফে সেই মন্দিরটিকে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়গুলির তত্ত্বাবধানকারী ফেডারেল সংস্থা।
 
পাঞ্জাবের রাভি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত শহর নারওয়ালের জাফরওয়াল শহর। সেখানেই রয়েছে বাওলি সাহেব মন্দির। এই মন্দিরেরই নির্মাণকাজ শুরু করেছে। ১৯৬০ সালের পর এই উপাসনালয় অকার্যকর হয়ে পড়ে। মন্দিরটিকে ফের নতুন করে গড়ে তোলার বিষয়ে এগিয়ে এসেছেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের একক সদস্য কমিশনের চেয়ারম্যান শোয়েব সিদ্দল এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মনসুর মসীহ। পাক ধর্মস্থান কমিটির সভাপতি সাওয়ান চন্দ জানান, ‘মন্দিরটি ফের গড়ে উঠলে নারওয়ালের হিন্দুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য দূরে কোথাও, বা অন্য কোন জেলায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’
 
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় কোনও হিন্দু মন্দির নেই। ফলে ওই জেলায় বসবাসকারী হিন্দুরা বাড়িতেই পুজোপাঠ করে থাকেন। অনেকে আবার পুজো দিতে শিয়ালকোট কিংবা লাহোরের মন্দিরে পাড়ি দেন। যদিও এ জন্য ইটিপিবিকেই দায়ী করছেন পাক ধর্মস্থান কমিটির প্রাক্তন সভাপতি রতন লাল আর্য। তাঁর বক্তব্য, ‘ইটিপিবির আওতায় আসার পরই বাওলি সাহেব মন্দিরে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, নারওয়ালে প্রায়  দেড় হাজার হিন্দু বসবাস করলেও এই জেলায় তাঁদের উপাসনার জন্য কোন মন্দিরের অস্তিত্ব নেই।’  তিনি আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে লাগাতার বাওলি সাহেবের মন্দির সংস্কারের দাবি জানিয়ে এসেছে পাক ধর্মস্থান কমিটি। এতদিনে সেই মন্দির সংস্কারের কাজ  শুরু করল পাকিস্তান সরকার।
সংস্কারের পর মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেওয়া হবে পাক ধর্মস্থান কমিটির হাতে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান স্বাধীন দেশ  হওয়ার পরেও নারওয়াল জেলায় সরকারি হিসাবে অন্ততপক্ষে ৪৫টি হিন্দু মন্দির ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সব মন্দিরই ভগ্নদশায় পরিণত হয়। 
উল্লেখযোগ্য হল, বছর দুই আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানীতে অবস্থিত একটি ১২০০ বছরের পুরানো হিন্দু মন্দির দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর একটি খ্রিস্টান পরিবারের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দিরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড লাহোরের আনারকলি বাজার সংলগ্ন বাল্মিকি মন্দির পুনরুদ্ধার করে। এই উপাসনালয়টিও দুই দশকেরও বেশি সময় আগে দখল হয়ে যায়। কৃষ্ণ মন্দির ছাড়া লাহোরের একমাত্র কার্যকরী হিন্দু মন্দির ছিল এই বাল্মীকি মন্দির। দখলদার খ্রিস্টান পরিবারটি, যাঁরা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত বলে দাবি করেন,তাঁরা গত দুই দশক ধরে শুধুমাত্র বাল্মিকি বর্ণের হিন্দুদের ওই মন্দিরে পুজো করার সুযোগ দিয়ে আসছিল।

Advertisement

Advertisement