সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি, প্রয়াত “ঋজুদা’র” স্রষ্ঠা বুদ্ধদেব গুহ

সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ (Photo: Facebook@Boiyer-Tak-বইয়ের-তাক)

গতকাল রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। ১৯৩৬ সালের ২৯শে জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেব বাবু। ৮৫ বছরের জীবনকালে বুদ্ধদেব বাবুর সাহিত্য কৃতি বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্য পরিসরে বহুল প্রশংসিত।

যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে থেকে পড়াশোনা করা বুদ্ধদেব বাবুর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে। পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা বুদ্ধদেব গুহ।

লেখক এবং সাহিত্যিক হিসেবে বুদ্ধদেব বাবুর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ছিল ‘জঙ্গলমহল’। পরবর্তী সময়ে তাঁর অজেয় লেখনীর কিছু উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি ছিল ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’,’কুমুদিনী’, ‘খেলা যখন’, ‘ঋজুদা’, ‘জঙ্গলিমহল’, ‘চানঘরে গান’ প্রভৃতির মতন উপন্যাস। ১৯৭৬ সালে ‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন বুদ্ধদেব বাবু।


গত এপ্রিল মাস থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই যুদ্ধে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু রবিবার  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই কালজয়ী সাহিত্যিক। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব বাবুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেছেন।তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা বুদ্ধদেব বাবু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেলিওরও গ্রাস করেছিল তাঁকে। ধরা পড়েছিল মূত্রথলীতেও সংক্রমণ। যদিও এবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, নিজের ভক্তদের চোখের জলে ভাসিয়ে চলে গেলেন, না ফিরে আসার দেশে। যদিও তিনি চিরকাল তাঁর রচনার মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবেন সাহিত্যপ্রেমী এবং পাঠকদের মনে।