আজ দক্ষিণবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, মঙ্গলে বৃষ্টির সম্ভাবনা

কলকাতা, ১৯ এপ্রিল: আজ, শুক্রবার কলকাতায় মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল। সল্টলেকে দুপুরের শুরুতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। এই তাপমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছয় দমদম এলাকা। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকলেও পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি টপকে যায়।

তবে এই পরিস্থিতি আগামী সোম ও মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং বীরভূমে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হবে। সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝিরঝিরে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দক্ষিণের আটটি জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই ক’দিন সকাল ৭টা থেকে চড়া রোদ দেখা দেবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও গরম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

প্রসঙ্গত আজ শুক্রবার কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ধারণ করে। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায় বাঁকুড়া জেলায়। সেখানে আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে সেই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। একইভাবে আসানসোলের তাপমাত্রা প্রায় সমানতালে বাড়ে। আজ সেখানে দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তুলনায় তাপমাত্রা সামান্য কম ছিল শ্রীনিকেতনে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ক্যানিং, দমদম, সল্টলেক সহ কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিঘায় ৩৬ ডিগ্রি ও হলদিয়ায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।


অন্যদিকে এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে সারাদেশের মতো আজ রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। সেখানে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়লেও গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম। আজ এই তিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ফলে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন ব্যাহত হলেও উত্তরবঙ্গে ভোটগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি।