মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, তিনি প্রয়োজনে দেশের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ট্রাম্প এখনও সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এবং মেয়াদ পূরণে কোনও অসুবিধা নেই।
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি তাঁর বাকি মেয়াদ পূর্ণ উদ্যমে কাজ করবেন এবং আমেরিকান জনগণের জন্য দারুণ কাজ চালিয়ে যাবেন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঈশ্বর না করুন যদি কোনও অঘটন ঘটে, আমি দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত। গত ২০০ দিনে আমি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি, তা একরকম অন-দ্য-জব ট্রেনিং-এরই অংশ।’
এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ট্রাম্পের হাতে একটি কালশিটে দাগ নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও হোয়াইট হাউসের তরফে তা গুরুত্বহীন বলেই দাবি করা হয়েছে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। ঘন ঘন ও জোরে হ্যান্ডশেক এবং অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এই দাগ দেখা দিয়েছে। জুলাই মাস থেকেই ওই দাগ ছিল, যা মেক-আপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।’
হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শরীরে ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ ধরা পড়েছে। এটি ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে বহু মানুষের মধ্যে দেখা যায় এবং গুরুতর কিছু নয়। জুলাই মাসে প্রেসিডেন্টের পায়ে সামান্য ফোলাভাব দেখা যাওয়ার পর এই রোগ শনাক্ত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল এবং হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বারবার আশ্বস্ত করছেন, ট্রাম্প এখনও কর্মক্ষম। তবে ভাইস প্রেসিডেন্টের সতর্ক মন্তব্য ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চালচিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।