কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে ফের তীব্র বিতর্ক। ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ট্রাম্প একটি চিঠি লিখেছিলেন বলে দাবি উঠেছে। শুধু চিঠি নয়, তাতে নাকি নারীদেহের অবয়ব এঁকে ট্রাম্প লিখেছিলেন— ‘শুভ জন্মদিন। তোমার প্রতিটা দিন যেন ভিন্ন অথচ দুর্দান্ত ভাবে গোপন হয়ে ওঠে।’ নীচে রয়েছে তাঁর স্বাক্ষরও। চিঠির ছবি ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর সেই নিয়েই এখন উত্তাল আমেরিকার রাজনীতি।
এই খবর প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের দাবি, চিঠিটি এক সময় এপস্টিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরাও বিষয়টি নিয়ে সরব। তাঁদের অভিযোগ, এপস্টিনের সঙ্গে যুক্ত তাবড় ব্যক্তিত্বদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে। তাঁরা ট্রাম্পের চিঠি প্রকাশ্যে এনে সেই ‘গোপন’ বার্তা খোলসা করার দাবি তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, এপস্টিনের তথাকথিত ‘ফাইল’-এ নাকি ট্রাম্পের পাশাপাশি বিল ক্লিন্টন, প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, গায়ক মাইকেল জ্যাকসনের মতো একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নামও রয়েছে বলে কানাঘুষো চলছে। এ নিয়েই মার্কিন কংগ্রেসের ওভারসাইট কমিটিতেও তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তবে হোয়াইট হাউস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের দাবি, ‘ওটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আঁকা ছবি নয়, এমনকি ওটা তাঁর স্বাক্ষরও নয়।’ ট্রাম্প নিজে মুখ না খুললেও জুলাই মাসে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জীবনে কোনও দিন ছবি আঁকিনি। মেয়েদের ছবি তো কখনওই আঁকিনি। ওই চিঠির ভাষাও আমার নয়।’
সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও তার মালিক রুপার্ট মার্ডকের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেন। পরে সত্যিই সেই মামলা দায়েরও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এপস্টিন কাণ্ডে বহু নাম জড়িত থাকার জল্পনা ঘিরে একাধিক বিতর্ক হলেও, ট্রাম্পের এই তথাকথিত চিঠি ফাঁস হওয়ার পর রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র হল বলেই মনে করছে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক মহল।